
বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি পল্লী উন্নয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মো: রবিউল ইসলাম ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাছুরা খাতুনের অপসারণ এবং বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। দুপুরে প্রতিষ্ঠানের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা জড়ো হয়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনকারীরা জানান, ধর্মীয় শিক্ষক মো: রবিউল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তান থাকার পরেও তিনি পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাছুরা খাতুনের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে, তিনি ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাছুরা খাতুনকে বিয়ে করেন। স্ত্রী-সন্তান থাকার পরেও, তিনি এমন কাজ করে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন। তার কাছে শিক্ষার্থীরাও এখন নিরাপদবোধ করছে না।
এদিকে এ ঘটনায় ধর্মীয় শিক্ষক মো: রবিউল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা খাতুন স্বামীর এ ধরণের কাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের সুখের সংসার। আমাদের সংসারে একটা মেয়ে রয়েছে। আমিও একটা মাদরাসায় চাকুরী করি। সে এমন কাজ করবে তা আমি কখনও ভাবিনি। বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমি তার বিচার চাই।
স্থানীয় বিএনপি নেতা আল মামুন টিপু বলেন, গার্লস স্কুলের মধ্যে শিক্ষক ও আয়ার অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। অভিভাবকেরা আসসালামালাইকুম জ্বি ভালো আছেন
ঘটনার বিষয়ে ধর্মীয় শিক্ষক মো: রবিউল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, ধর্মীয় শিক্ষক রবিউল ইসলাম এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাছুরা খাতুনের সম্পর্কের বিষয়টি অনেক আগেই জেনেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। তার স্ত্রী বিদ্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
Please follow and like us: