সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ছাঁদে নিজস্ব ধান শুকানোর চাতাল হিসেবে ব্যবহার করেন প্রধান শিক্ষক নিজেই। প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে চালান নিজের পানি উত্তোলনের বৈদ্যুতিক পানির পাম্প। এছাড়াও ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের ২৩ ডিসেম্বর ইন্তেকালে জাতীয়ভাবে শোক পালনে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা থাকলেও স্কুলে উত্তোলন করেনি জাতীয় পতাকা।
এমন ঘটনা ঘটেছে বিরল উপজেলার ৮নং ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন কাড়লিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২৩ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা মেলে এমন দৃশ্যের। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। কাড়লিয়াপাড়া গ্রামের নাইমুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন স্কুল হওয়ায় স্কুল ভবনের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তার নিজস্ব ব্যবহৃত পানি উত্তোলনের পাম্প চালায়। কিছুদিন আগে তার বাসা নির্মাণ কাজ চলার সময় বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে পানি উত্তোলনসহ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত সকল কাজ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আরেক ব্যক্তি জানান আপনারা তো নিজের চোখেই দেখে গেলেন তারা প্রতিবছর তাদের চাষাবাদ কৃত কয়েক বিঘা জমির ধান স্কুলে ছাঁদেই শুকায়। এসব বিষয়ে আমরা গ্রামবাসী কিছু বলতে গেলে আমাদের মূর্খ মানুষ বলে গালি দেয় তাই আমরা তাকে ভয়ে কিছু বলিনা।। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন হোসেন’কে মুঠোফোনে রাষ্ট্রীয় শোকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মনে ছিলনা তাই পতাকা উত্তোলন করিনি এটা ভুলবশত হতেই পারে এটা নিয়ে সাংবাদিক ফোন দেয়ার মতো কি আছে বলেই ফোন কেটে দেন। স্কুলের ছাঁদে ধান শুঁকানোর বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের ছেলে শহিদুল ইসলাম জানায় এগুলো আমাদের ধান নয় পাড়া প্রতিবেশি বলেছে তাই ধান শুঁকাতে দিয়েছি এটা তো অপরাধ নয়, আর বিদ্যুৎ আমরা সমস্যায় পড়ে কয়েকদিন চালিয়েছিলাম। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ কখনো আসেনি এবিষয়ে তার কাছে জবাব চেয়ে শোকজ করা হবে।
Please follow and like us: