বিরলে গগনপুর চৌরাস্তা নূরানিয়া, হাফেজিয়া, ক্বারিয়ানা, মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিমখানা এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালককে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে মাদ্রাসা থেকে বিচ্যুত করার অপচেষ্টা ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব একরামুল হক বাদী হয়ে বিরল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে যানা যায়- চলতি বছরের গত জানুয়ারি মাসে উক্ত মাদ্রাসায় একটি কমিটি গঠন করা হয়। যাহা বিরল সমাজসেবা অফিস কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এমতাবস্থায় একটি কুচক্রী মহল এই কমিটি গঠন মানে না এছাড়া কমিটিবৃন্দের উপর বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ও বদনাম করে বেড়ায় এমনকি বিবাদ সৃষ্টি করে ও স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে নানা প্রকার অপপ্রচার চালাতে থাকে এবং কমিটিবৃন্দের লাকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে এছাড়াও উক্ত কমিটি গঠনের উপর বিরল সমাজসেবা অফিসে অভিযোগ দায়ের করে। এরই পেক্ষিতে গত ১৪/০৮/২০২৪ ইং ভারিখ ৪ নং শহরগ্রাম এর সাবেক চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, এলাকার গন্য মান্য ব্যক তি, ও অনেক সাধারন মানুষকে নিয়ে উক্ত মাদ্রাসার নূতন কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কুচক্রী মহল বর্তমান কমিটিও মানে না বলিয়া পূর্বশত্রুতার জের ও উক্ত কমিটি গঠনের জের ধরে অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক ও বর্তমান সাধারণ – সম্পাদক আলহাজ্ব একরামূল হক সহ তার পরিবারের লোকজনের সাথে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে মারপিট করার সুযোগ খুঁজিতে থাকে।
এমতাবস্থায় অদ্য ইং ০৩/০৮/২০১৪ইং তারখি সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময়, গননপুর চৌরাস্তা মোড়ে মাদ্রাসার গেটের সামনে আমি আলহাজ্ব একরামুল হক সহ আমার দই ভাই মোঃ এনামুল হক ও মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, কে দেখতে পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমি তাদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা পূর্ব পর কিল্পনা অনুযায়ী ১। মোঃ হাসিনুর (৩৫), ২। মোঃ হাসমত আলী (৩০), ৩। মোঃ আনিছুর রহমান (৫৮), সকলের পিতা- মৃত, কছির উদ্দীন, ৪। মোঃ লালু (২৯), পিতা- মোঃ মমতাজ আলী, ৫। মোঃ মানিক (২৫), পিতা- মো: আনিছুর রহমান, ৬। মোঃ তোজাম্মেল হক (৪০), পিত- মৃত, আবু তাহের, সকলের সাং- গগনপুর, ০৪নং শহরগ্রাম ইউনিয়ন, থানা- বিরল, জেলা- দিনাজপুর। আমাদের কে হত্যার উদ্দেশ্যে রিয়াজুল ইসলামের মাথায় আঘাত করলে অজ্ঞান হয়ে রক্তাত অবস্তায় রাস্তায় পড়িয়া যায়। মোঃ আনিছুর রহমান, আমার ভাই মোঃ এনামুল হক কে পিছন থেকে চেপে ধরে ও তার ছেলে মানিক আসে হত্যার উদ্দ্যেশে বাঁশ দিয়া মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়। হাসমত, হাসিনুর ও লালু সকলেই রিয়াজুল ইসলাম কে এলোপাথারি মারতে থাকে। সেই সময় আশে পাশের লোকজন আগাই আসলে সকল বিবাদীগন লোকজনের উপস্থিতি টের পাইয়া চলিয়া যাওয়ার সময় আমাদের কে জীবনে শেষ করে দিবে, বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও মেরে ফেলোর হুমকি প্রদান করে। এ বিষযয় অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক ও বর্তমান সাধারণ সমপাদক আলহাজ্ব একরামুল হক নিজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাদ্রাসার কাজ করেন। এবং মাদ্রাসার উন্নয়নে জন্য নিজেই ১৫ শতক জমি দান করেন।
আমা অক্লান্ত পরিশ্রমে ও এলাকাবাসির সহযোগিতায় বর্তমানে মাদ্রাসা ও মসজিদ এর নামে 1 একর 61 শতক জমি রয়েছে। আমার পরিকল্পনা মাদ্রাসার পাশে যে 38 শতক জমি ক্রয় করা হয়েছে সেখানে ছাত্রদের জন্য খেলার মাঠ, জানাযার মাঠ ও বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল এর ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে আশে-পাশে কোন মাঠ নাই তাই এলাকার কোন লোক মারা গেলে জানাযার জন্য অনেক কষ্ট হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্যেশে দিনরাত কাজ করে গেছি এই মসজিদ ও মাদ্রাসার জন্য এরই সুফল হিসেবে ২০০৬ সালে মাদ্রাসাটি সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ক্যাপিটেশন গ্রান্ড প্রাপ্ত হয়। যাহার রেজি নং-১৮৫১/০৬। অত্যন্ত কষ্টের সাথে বলতে হচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাদ এর মতো জঘন্যতম অপ্রচার চালাচ্ছে। আমার কাছেমাদ্রাসার সকল আয় ও ব্যায় এর হিসাব রয়েছে। আমি সকল মিথ্যা অপপ্রচার এর তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এলাবাসি, জনসাধারণ ও সচেতন মহল কে এই মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ করছি। আল্লাহ আমাদের যেন মাদ্রাসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার তৌফিক দান করেন এই জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি। এবিষয়ে বিরল থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম মাওলা শাহ্ জানায় এ বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ: এর আগে ২৪ আগষ্ট (শনিবার) অত্র মাদ্রাসার দীর্ঘদিনের বিরোধ নিরসনের লক্ষে প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসী সহ কমিটির সকলের উপস্থিতে সর্বসম্মতিক্রমে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে অত্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আলী কে সভাপতি ও অত্র মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি একরামুল ইসলাম কে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।।
Please follow and like us: