
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ১১ নং পলাশবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খায়রুল ইসলাম খোকন এর নিজ হেফাজতে রাখা সরকারি গাছ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
পলাশবাড়ি ইউনিয়নের চকেরহাট থেকে কাঞ্চনব্রীজ যাওয়ার সড়কের আগ্রা-বসন্তপুর এলাকায় পাকা রাস্তার ধারের পাশের ২ টি মেহগনি গাছ গ্রাম পুলিশসহ নিজে উপস্থিত থেকে কেটে টুকরো করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে নিজ হেফাজতে রাখেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই গাছ ২ টির ডালপালার অংশ রেখে মূল্যবান গোড়ালিসহ গাছের মোটা অংশের টনগুলো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। গাছ দুইটির বাজারমূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান । এলাকাবাসী জানান, ১১ নং পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম খোকন উপস্থিত থেকে গ্রাম পুলিশের পাহারায় মেহোগনি গাছ ২ টা কেটে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে আমাদের প্রতিবেদক পলাশবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম খোকনের কার্যালয়ে গিয়ে মেহোগনি ২ টি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, গ্রাম পুলিশ দিয়ে গাছ ২ টি তিনি কর্তন করে নিয়ে এসেছেন বলে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দুষ্কৃতকারীরা রাতের আঁধারে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা আশা স্যার ও বীট অফিসার মহসীন আলীকে জানানো হয়েছে। গাছগুলো যে কোন সময় পরে গিয়ে পথচারীদের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে তাই কেটে নিয়ে আসা হয়েছে। গাছ গুলো এখন কি করা হবে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, এর জবাব কি সাংবাদিককে দিতে হবে। বেশি পেঁচাপেঁচি করলে সব বিক্রি করে দিব। পারলে কেউ ঠেকাবে। ইউএনও, তহসিলদার যত পেঁচাবে ততই আমার লাভ। কারণ আমার ইউনিয়ন পরিষদে গাছ যত আসবে ততই আমার লাভ কিছু গাছের ডালপালা রেখে সব আমি বেঁচে খাব। যে কথা সেই কাজ এক সপ্তাহ পরে গিয়ে দেখা যায় গাছ ২ টি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে নেই। মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনেকে জানান, চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম খোকন বিভিন্ন সড়কের গাছ কেটে এভাবে পরিষদের হেফাজতে রাখার কথা বলে নিয়ে আসে ঠিকই। কিন্তু কিছুদিন পরে আবার উনিই গাছগুলির অংশ বিশেষ রেখে ভাল গোলাই কাঠ গুলি সড়িয়ে ফেলেন। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না দলীয় চেয়ারম্যান হওয়ার কারনে।
সামাজিক বনবিভাগ দিনাজপুর এর ধর্মপুর ফরেস্ট বীটের বীট কর্মকর্তা মহসিন আলীর মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ২ টি মেহোগনি গাছ কেটে নিয়ে পরিষদে রাখার বিষয় চেয়ারম্যান জানিয়েছেন মাত্র। পরে গাছগুলি কি হলো আর জানায়নি বলে তিনি জানান।
Please follow and like us: