
হাতে হাতে গাছের চারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৃক্ষ হলো পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ, প্রকৃত ও উপকারী বন্ধু। বৃক্ষ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। বৃক্ষ ও প্রাণিকুল একে অপরের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাণীদের বেঁচে থাকার প্রধান ও মূল উপকরণ অক্সিজেন, যা বৃক্ষ থেকেই উৎপন্ন ও নির্গত হয়।
প্রতিটি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে প্রাণিজগৎ কার্বন ডাই-অক্সাইড বর্জন করে। এটি এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বৃক্ষ সেই দূষিত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং প্রাণিকুলের বেঁচে থাকার মূল উপাদান অক্সিজেন নিঃসরণ করে। পরিবেশের দূষণ রোধ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে গাছ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে।
এই বিষয়গুলো জানিয়ে আগামী প্রজন্মকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে ভার্ড নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে এবং বৃক্ষরোপণে আগ্রহী করে তুলতে স্কুলে স্কুলে ছুটে যাচ্ছেন ভার্ডের সদস্যরা। তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন নানা রকম গাছের চারা। এই চারা হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যেকেই চারা পেয়ে জানিয়েছে, নিজের বাড়ির আঙিনায় বা খোলা জায়গায় এই চারা রোপণ করবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বম্ভরপুরের দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের শক্তিয়ারখলা উচ্চ বিদ্যালয় সহ সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই চারা বিতরণ করা হয়।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন ও মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভার্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলদ গাছের ৪০০ টি চারা বিতরণ করা হয়েছে। দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মুফিজুর রহমান, ভার্ডের প্রোজেক্ট ম্যানাজার জনাব,সাইদুল ইসলাম, ইসপয়ান্সর কামরুল হাসান, ইয়ুথ প্রোগ্রাম অফিসার জনাব,রনি বনিক ও যাদুকাটা যুব একশন ফর লোকাল ডেভেলপমেন্ট সংগঠন এর প্রধান প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো:মোবারক হোসেন এবং ভার্ডের এফ.এফ রা
শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। চারা পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। মুনি নামের মেয়েটি গাছের চারা হাতে পেয়ে আনন্দিত ছিল। আমের চারা হাতে পেয়ে মেয়েটি বলে, ‘এই চারা আমি বাড়ির উঠানে লাগাব। স্যারেরা বলেছেন দুই বছর পরেই গাছে আম আসবে। তখন সবাইকে নিয়ে আম খাব।’
Please follow and like us: