
স্টাফ রিপোর্টার, আলী আশরাফ: – ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য যুবলীগের ব্যানারে মানববন্ধন ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আনোয়ারুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার করোনার হটস্পট বেলকুচি উপজেলায় বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার ওপর মিথ্যা সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে সাবেক মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার চালা বাস্টস্ট্যান্ডে যুবলীগের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে প্রায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মাস্ক ছাড়া, সামাজিক দূরন্ত বজায় না রেখে মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করে। এ সমাবেশের আগাম খবর জেনেও সমাবেশে বাঁধা দেয়নি পুলিশ বা উপজেলা প্রশাসন। তীব্র সমালোচনায় করোনার সময়ে এঘটনায় বেলকুচি থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলামকে বুধবার রাতেই প্রত্যাহার করা হয়। এবিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল হক বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে সব ধরনের মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সাজ্জাদুল হক রেজা মানববন্ধন ও সমাবেশ করে সংগঠন বিরোধী কার্যক্রম করেছে। জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল বলেন, এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ দলীয় কোনও কর্মসূচি ছিল না। এটা বেলকুচি আহবায়কের সাজ্জাদুল হক রেজার উদ্দেশ্যে হাসিল করার জন্য কর্মসূচি ছিল। বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান এ ধরনের মানববন্ধন ও সমাবেশের বিষয়ে কোনও প্রকার অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বরং বেলকুচি থানার ওসিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে। বেলকুচির নবাগত ওসি মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নির্দেশে ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এবিষয়ে বক্তব্য নিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ ও পুলিশ সুপার মো. হাসিবুল আলমের সরকারি মুঠোফোনে শুক্রবার সকালে একাধিকবার কল করেও সাড়া মেলেনি। জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে শুক্রবার সকালে মোবাইলে বলেন, বেলকুচির ইউএনও বদলি হয়ে গেছেন। কামারখন্দের ইউএনও ভারপ্রাপ্ত হিসেবে থাকলেও বিষয়টি আগে থেকে অবগত ছিলেন না। বেলকুচিতে দলীয় লোকজনের মধ্যে যতই বিভাজন থাকুক না কেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তাদের এ ধরনের সমাগম করাটা মোটেও উচিত হয়নি।