বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলার আসামিক এবং আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী যুবলীগ নেতা মইন খান বাবলু’র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মুসলিম বেনারসি এন্ড জামদানি সোসাইটিকে সুনামগঞ্জ ষোলঘর খেলার মাঠে মাস ব্যাপী শিল্প পণ্য মেলা আয়োজনের অনুমতি দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুলাই বিপ্লবে অংশ নেয়া সুনামগঞ্জের ছাত্রজনতা। ছাত্রবৈষম্য আন্দোলনের বিপক্ষ শক্তি আওয়ামী দোসরদের মাধ্যমে মেলা আয়োজন বন্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ ষোলঘর এলাকার ছাত্রজনতা। গত বুধবার জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার কাছে ছাত্রজনতার পক্ষে আবেদন জানান রাহুল আহমদ সজিব নামের এক শিক্ষার্থী।
আবেদনে উল্লেখ করেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে জুলাই বিপ্লবে অনেক ছাত্রজনতা শহীদ হয়েছে৷ অনেকেই আহত অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তৎকালীন সময়ে সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার উপর হামলার সাথে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগে নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন বাংলাদেশ মুসলিম বেনারসি এন্ড জামদানি সোসাইটি চেয়ারম্যান মঈন খান বাবলু। যাঁর বিরুদ্ধে সিলেট আদালতে মামলার করেছেন তারিফ উদ্দিন নামের এক ভুক্তভোগী। ছাত্রদের উপর হামলা মামলার অন্যতম আসামি মইন খান বাবলুকে মাসব্যাপী সুনামগঞ্জ শিল্প পণ্য মেলা আয়োজনের দায়িত্ব দেয়ায় এলাকায় ছাত্রজনতার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী ছাত্রজনতার বাংলাদেশে আওয়ামী দোসরকে মেলার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। খেলার মাঠে মেলা বন্ধে দাবি জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করায় নিন্দা জানানো হয়েছে এই আবেদনে। অবনতিবিলম্বে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মামলার আসামি মইনখান বাবলুকে মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয় আবেদনে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি দ্বারা বাণিজ্য মেলার আয়োজনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী, আইনজীবী, ব্যবসায়িসহ সচেতন জনতা। এটি বন্ধে সংশ্লিষ্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে মেলা আয়োজন কারী প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ মুসলিম বেনারসি এন্ড জামদানি সোসাইটি চেয়ারম্যান মঈন খান বাবলু বলেছেন তিনি কোনো মামলার আসামি নয়। একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
মেলার অনুমোদনের বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া’র সাথে যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।