তিন জন ছাত্রীর নামে মামলা দেয়া শিক্ষকদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। ২০১৬ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের নবাব ফয়জুন্নেসা হল থেকে মধ্যরাতে তাদের আটক করে পুলিশ। এ বিষয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর নতুন অধ্যক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রীরা। প্রশাসনিক ভবনের সামনে ফেস্টুনসহ ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করেন তারা। সূত্রমতে, ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই মধ্যরাতে কলেজের নবাব ফয়জুন্নেসা হলে পুলিশ প্রবেশ করে তিন জন ছাত্রীকে আটক করে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাদের নামে মামলা হয়। ২৮ জুলাই তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তিন ছাত্রী হলেন, কানিজ ফারহানা বাতুল, আরজিনা আক্তার চম্পা ও সালমা আক্তার। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্রী, ফয়জুন্নেসা হলের বাসিন্দা কানিজ ফারহানা বাতুল বলেন, ডা. জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্র ও ইসলামী বই পড়ার অপরাধে জঙ্গি নাটক সাজিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। হলের ম্যাডাম ও কলেজের শিক্ষকরা, পুলিশ ডেকে এনে তিন জন ছাত্রীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া, ৮ বছর যাবৎ হয়রানি, সরকারি চাকরিতে যোগদান না করতে দেয়া এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতি করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচার চাই। ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক ছাত্রী ও ফয়জুন্নেসা হলের বাসিন্দা আরজিনা আক্তার বলেন, হলের তৎকালীন প্রভোস্ট অধ্যাপক মিতা সাফিনাজ, সহকারী প্রভোস্ট নিলুফার সুলতানা, সহকারী প্রভোস্ট তোফায়েল আহমেদ, সে সময়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রশিদ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তাহের এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক প্রফেসর জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী। পুলিশসহ অনেকে এ হয়রানি সাথে জড়িত। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচার চাই। মিতা সাফিনাজ, নিলুফার সুলতানা ম্যাম আমাদের আসবাব ভাঙচুর করেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের আটক করিয়েছেন। আমাদের সম্পদ বুঝে পাইনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, লিখিত অভিযোগের আলোকে তদন্ত হবে। দোষী হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।