১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




মানিকগঞ্জের শিবালয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ‘বালুখোকোরা ফের বেপরোয়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, নয়া আলো।

আপডেট টাইম : জানুয়ারি ০৫ ২০২৫, ১৬:৪১ | 626 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আলোকদিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের ছত্রছায়ায়‘বালুখোকোরা’ক্রমশ বেপরোয়া’হয়ে উঠেছে। সরকার পতন হলেও যমুনায় জেলা প্রশাসনের ইজারার বালুমহালের বাইরে যত্রতত্র বালু উত্তোলন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার গংয়ের নেতৃতে যমুনায় অবৈধ বালু উত্তোলন থেমে নেই।

শিবালয় ইউনিয়‌নের আলোকদিয়া গ্রা‌মের আব্দুল খালেক অভিযোগ করে বলেন,
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলাল হোসেন ও সহকারী ভুমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) এস.এম.ফায়েজ মাসিক মাশোয়ারার চুক্তিতে জলদশ্যু ও বালুখোকো চক্রকে নেপথ্যে সহযোগিতা করছেন। আমরা একাধিকবার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য মানববন্ধন করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মাঝেমধ্যে লোকদেখানো অভিযান চলে। কিছুদিন না যেতেই ফের আগের অবস্থা। ফের বেপরোয়া বালুখোকোরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইস্ট-ওয়েস্ট বা ‘পূর্ব-পশ্চিম’ জাতীয় বিদ্যুত গ্রীডের খুুটি ও তারসহ বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত করে জেলা প্রশাসনের ইজারাকৃত বালুমহালের বাইরে আওয়ামীলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীন নেতা বাশার চক্র দীর্ঘদিন থেকে বালু উত্তোলন করছে যেন দেখার কেউ নেই। বালুখেকো চক্রের হাত থেকে প্রতিকার পেতে স্থানীয় ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা সম্প্রতি জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনসহ উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে অবৈধ বালু উত্তোলনের নেপথ্যে স্থানীয় চক্রের পাশাপাশি শিবালয় ইউএনও ও এসসিল্যান্ডকে সরাসরি দুষেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ক্ষতিগ্রস্তরা স্থানীয় প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও চেয়েছেন।

ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগকারী আলোকদিয়া গ্রামের আল আমিন হোসেন বলেন,‘মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়ায় যেস্থানে বালু উত্তোলন করা হচ্চে সেটি কখনও জেলা প্রশাসনের উজারায় দেয় বালুমহাল নয়। সেস্থানে ‘ইস্ট-ওয়েস্ট’ বা ‘পূর্ব-পশ্চিম’ জাতীয় বিদ্যুত গ্রীডের খুুটি ও তারসহ বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন রয়েছে। মোটা বালুর প্রাপ্তিস্থান ও বেশী দামে বিক্রির লোভে সেখানে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। ইউএনও ও এসিল্যান্ড সাহেবরা বালুখেকো চক্রকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ্যভাবে সহায়তা করছেন। আবাদি জমি, বসতবাড়িসহ পুরো জনপদসহ ভাঙ্গনে বিলীন হবার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই সঠিক প্রতিকার পেতে জেলা প্রশাসনসহ পানি, বিদ্যুত ও ভুমি মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।

এবিষয় শিবালয় উপজেলার এসিল্যান্ড এস. এম. ফায়েজ বলেন, প্রায়ই সেখানে অভিযান চলে। এর মধ্যে দু’টি অভিযানে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

উপ‌জেলা নির্বাহী অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, ‘অবৈধ বালু উত্তোলনের খবর পেলে সেখানে প্রায়ই অভিযান করা হয়। অভিযান শেষে চলে আসার পর আবার প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার হয়তো তারা বালু তোলার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজনকে সচেতন হতে হবে। তাদেরও তৎপর হতে হবে।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET