বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় থানায় মামলা দিতে যাওয়ার পথে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৭ জন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার (৬০) ওই এলাকার আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে। আহতরা হলেন- হারুণ জোমাদ্দার (৫০), লতিফ জোমাদ্দার (৫৫), রশিদ জোমাদ্দার (৪২), আলম হাওলাদার (৭০), লিটন হাওলাদার (৪৫), জামিলা বেগম (৫০) ও মেহেদী হাসান (৩৫)।
নিহতের ভাইপো মার্জুন জোমাদ্দার নয়ন জানান, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শুক্রবার ভোর ছয়টার দিকে মোজাম্মেল হাওলাদার ও তার ছেলে ইকবাল জসিম সুমনসহ স্থানীয় সন্ত্রাস শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন আব্দুল হাকিম জোমাদ্দারের উপর হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে। বাধা দিলে তারা আমাদের পরিবারের আরো সাতজনকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দিতে যাওয়ার পথে সকাল আটটায় পলিটিক্স মোড়ের সামনে পৌঁছালে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা মোজাম্মেল হাওলাদার তার ছেলেরা ও স্থানীয় সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার চাচা আব্দুল হাকিম জোমাদ্দারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার ফাত্তাহ্ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে মোজাম্মেল হাওলাদার ও শহিদুল ইসলামের মোবাইল বন্ধ থাকার কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন জানান, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারপিটে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নিহত হাকিম জোমাদ্দারের ঘাতকদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Please follow and like us:
