
নিহত সাফায়েত তালকুদারের মা শাফিয়া বেগম ও স্ত্রী তন্বী বেগম অভিযোগ করে বলেন, রাত তিনটার দিকে পুলিশ বাড়িতে এসে শাফায়াতকে ঘরের বাইরে নিয়ে বেধড়ক পিটায়। তার শরীরে সিগারেটের চ্যাঁকা দেওয়া হয়। বার বার পানি চাইলেও তাকে পানি দেওয়া হয় নাই। এস আই পিনটু নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা শাফায়াতকে বিনা অপরাধে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, সোহেল নামে এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে আটকের জন্য পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে ডাকাত ডাকাত বলে পুলিশের ওপর কিছু লোক হামলা করে। পরে পুলিশ তাদের জনবল বাড়িয়ে সাফায়েত, শাহিন ও সোহেলকে আটক করে থানার উদ্দেশে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে সাফায়েত মারা যায়।
এদিকে নিহতের চাচাতো ভাই ইউনিয়ন বিএনপি নেতা লোকমান হোসেন হাওলাদার বলেন, নিহত সাফায়েত হোসেন নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। নিহত ওই যুবক মাত্র ১মাস পূর্বে তন্বী নামে এক নারীকে বিয়ে করেছিলো। সে পেশায় একজন চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী পরিবারে স্ত্রীসহ পিতা ও মাতা রয়েছে। আহত ২জনের একজন বিএনপি সদস্য ও অপর জন পৌর শ্রমীক দলের সদস্য।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আহাদ নাজমুল হাসান বলেন, পুলিশের গাড়িতে করে ৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে শাফায়েত তালুকদারকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। আরও ২ জন আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাজিব আল রশিদ বলেন, ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশের পৃথক টিম পাঠানো হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে নিহত যুবকের লাশ এখনও হাসপাতালে রয়েছে।