
মোরেলগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামিম হাসান টিটুর বিরুদ্ধে ১শ বিঘার একটি মৎস্য খামার দখলের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি কমেন্টস করেছে মোড়লগঞ্জের হোগলাবুনিয়া এলাকার প্রতীম ব্যানার্জি। তাছাড়া একটি অনলাইন পত্রিকায় “মোড়েলগঞ্জে চলছে টিটু বাহিনীর দখলের রাজত্ব” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হলে সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য সাংবাদিকদের বরাবর একটি আবেদন দাখিল করেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল হোগলা বুনিয়া ইউনিয়নে সরে জমিনে উপস্থিত হয়ে রাধা গোবিন্দ মন্দির কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ খরাতির সাথে কথা বলেন। ঘটনার বিষয়ে তিনি জানান প্রতীম ব্যানার্জি নামে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন লোক ইউনিয়নে বসবাস করে না। এই ইউনিয়নের কোন ব্যানার্জি সম্প্রদায় বা গোষ্টি নাই। এই ইউনিয়নে কোন টিটু বাহিনী নাই। ১শ বিঘা ঘের তো দূরে থাক ২/৩ বিঘা জমির ঘেরও কম পাওয়া যাবে। এই ইউনিয়নে প্রাকৃতিকভাবেই মৎস্য চাষ সম্ভব নয়, সে কারণে কেউ ঘের করে না। শামীম হাসান টিটু একজন পরোপকারী ও ভালো লোক।
দলিত সাম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাস বলেন, এসব বানোয়াট ভুয়া খবর। আমাদের ইউনিয়নে ১শ বিঘার কোন ঘের নাই। প্রতীম ব্যানার্জি নামেও কোনো লোক নাই। শামীম হাসান টিটুর বাবা এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তারা অত্যাচারী নয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্যই প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় শিবির নেতা তাওহীদুল ইসলাম বলেন, একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য গুজব ছড়াচ্ছে। এই ইউনিয়নে মৎস্য খামার নাই। যা আছে খুব ছোট ছোট। শামীম হাসান টিটোর কোন বাহিনী নাই। সে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আফজাল মাস্টার বলেন, প্রাকৃতিক কারণে এই ইউনিয়নে ঘেরে মৎস্য চাষ হয় না। তবে ছোট ছোট পুকুরে মাছ চাষ করা হয়। শামীম হাসান টিটোর নামে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার নিজের নামেও কোনো মৎস্য ঘের নাই। প্রতীম ব্যানার্জী নামে কোন লোক এই ইউনিয়নে বসবাস করে বলে আমার জানা নাই। পিছন থেকে হয়তো কেউ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
জেলা ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন বলেন, এই ইউনিয়নের কোন ১শ বিঘার মাছের ঘের নাই, এমনকি পাঁচ বিঘারও ঘের নাই। তার কোন বাহিনী নাই। যেখানে ঘের নাই সেখানে ঘের দখলের প্রশ্নই আসে না। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি এই ইউনিয়নে প্রশান্ত ব্যানার্জি নামে কোন লোক বাস করে না। শামীম হাসান টিটো ভাইয়ের বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এ সময় আরো কথা হয়, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার, বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ লালসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের সাথে। শত বিঘার মাছের ঘের এ ইউনিয়নে আছে বলে কেউ জানেন না। প্রতীম ব্যানার্জি নামের কোন লোক এই ইউনিয়নে বসবাস করে না। যুবদল নেতা টিটোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
Please follow and like us: