
পিতৃমাতৃহীন অন্ধ ভাগ্নির টাকা অর্থ স্বর্ণালংকার ও জমিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র আত্মসাতের একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বাগেরহাটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোড়েলগঞ্জের আদালতে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছেন বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মোড়েলগঞ্জ পৌর শহরের কলেজ রোডের মৃত মাষ্টার ওসমান গনির ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে তারই আপন মামা মোড়েলগঞ্জ পৌর এলাকার মৃত মতিয়ার রহমান শিকদারের ছেলে মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম শিকদার এবং মোঃ শহিদুল ইসলাম শিকদারকে আসামী করে আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেন।
বাদীর নালিশি বিবরণে উল্লেখ করেন, তার মা মমতাজ বেগমের নামে মোড়েলগঞ্জ শহরের সোনালী ব্যাংক শাখায় ৪ লক্ষ টাকা জমা রয়েছে। যে টাকার নমিনি তার মেয়ে ছয় বছর বয়সেই দুই চক্ষুর দৃষ্টি হারানো হাবিবা সুলতানা রুবি। কবে কখন কিভাবে নমিনি পরিবর্তন করে অসৎ উদ্দেশ্যে শহিদুল ইসলাম শিকদার ওই একাউন্টের নমিনি হয়েছে তা কেউ জানেনা। মায়ের মৃত্যুর পর মামলায় অভিযুক্ত মামাদের কারনে ঐ টাকা সে উত্তোলন করতে পারছে না। মামারা অন্ধ বোনটির জাতীয় পরিচয়পত্র আটক রাখার ফলে তার নামে থাকা সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতার হিসাব হালনাগাদ করতে পারছেনা। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তার মৃত মা মমতাজ বেগমের ৬৫ শতাংশ জমি আসামিগন শরিকদের বুঝাইয়া না দিয়া জোরপূর্বক ভোগ দখল করছে। তার মায়ের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার গুলি আসামীগণ আত্মসাৎ করেছে। তাছাড়া মায়ের ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাবপত্র আসামি গন আটক রেখেছে। স্থানীয়ভাবে ও আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে এসব বিষয়ে বহুবার সালিশ মীমাংসা হলেও আসামীগণ বিষয়টা মিমাংশা করে নাই। বিষয়টি সমাধান করে দিবে বলে তারা (মামারা) ঘুরাচ্ছে।
অন্ধ বোনের টাকা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ ফিরে পেতে ৪ জুলাই মোরেলগঞ্জ আদালতে মামলাটি দায়ের করলে আদালত ঐদিনই বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর উপর তদন্তের নির্দেশ দেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম শিকদার বলেন, আমরা আমাদের ভাগ্নে-ভাগ্নিদের সবকিছু বুঝাইয়া দিব। তবে এলাকার মেয়র ও কাউন্সিলর এর মাধ্যমে বুঝে নিতে হবে। তারা আসুক বুঝে নিয়ে যাক।
ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান বলেন, তদন্ত কাজ চলছে, তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই মুহূর্তে কোন মন্তব্য করা সম্ভব হচ্ছে না।
Please follow and like us: