রাজশাহীতে সংবাদ মিথ্যা সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী রাজমিস্ত্রি মোঃ নাসির উদ্দীন। তিনি মহানগরীর শাহমখদুম থানার ভুগরইল এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের।
শনিবার রাজশাহী মহানগরীর একটি পত্রিকা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত (০৭ নভেম্বর) রাজশাহীর এক অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইয়াদ আলী সরকার রাজশাহীর একটি প্রেসক্লাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সেখানে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, সেনাবাহিনীর এক সৈনিক পরিচয় হুমকি দেয়ার ঘটনায় ডাক্তার ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার রাজশাহী শাহ-মখদুম থানায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি মহানগরীর উত্তর নওদাপাড়ার বাসিন্দা। ডা. এর দাবি, গৃহ নির্মাণের জন্য নাসির নামে এক রাজ মিস্ত্রিকে দৈনিক মজুর ভিত্তিতে দেন। কাজের পারিশ্রমিক বাবদ বিভিন্ন সময়ে ২ লাখ ২২ হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাবে বলে চাপ দেয়। পরে সেনাবাহিনীর এক সৈনিক পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে আমাকে বসত বাড়ি ভাঙচুর করা হবে বলে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করে।
শনিবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে রাজমিস্ত্রি নাসির উদ্দীন তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো সাড়ে ৭লক্ষ টাকা চুক্তিতে ডাক্তারের ১ ও ২তলা বিল্ডিংয়ের নির্মান কাজ করি। যাহা চলতি বছরের ২জুন ৩০০টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখাপড়া রয়েছে। এরপর পর ডা. ইয়াদ আলী সরকার বিভিন্ন কিস্তিতে আমাকে ৪লখ টাকা পরিশোধ করেন। অবশিষ্ট সাড়ে ৩ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য ৩ মাস সময় নেন। ৩মাস অতিক্রম হওয়ার পরও তিনি পাওনা টাকা পরিশোধ করেন নাই। তাই ডাক্তারের নিকট গিয়ে পাওয়া টাকা চায় রাজমিস্ত্রি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি বলেন যা পারিস করে নিস। টাকা দিতে পারবোনা। ভুক্তভোগী নাসিরের মেয়ে সেনাবাহীনির একজন সৈনিক। তার চাকরী খেয়ে নিবে বলে হুমকি দেয় ডা. ইয়াদ আলীর বোন জামাই মোঃ আমজাদ হোসেন। এছাড়াও ডা. তাঁর স্ত্রী’র সাথে রাজ মিস্ত্রির নাম জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। যেহেতু ডা. ইয়াদ আলী একজন বিত্তবান ব্যাক্তি, তাই তার ও তার বোন জামাইয়ের অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।
সেই সাথে ডা. যেন কোন মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসাতে না পারে, সে বিষয়ে আরএমপি পুলিশ কমিশনার মহাদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। #