
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সর্ববৃহৎ হাট বানেশ্বর হাট। এই হাটে ব্যবসায়ীর একটি চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ার অভিযোগ স্থানীয় কৃষকরা।
সরজমিনে বানেশ্বর বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের – রসুন প্রতি মণে ২কেজি আর বস্তার ওজন ২০০ গ্রাম হিসাবে ক্রয় করে হাটে আগত বেপারীগণ।
রসুন বিক্রেতা কৃষক আলতাব হোসেন বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে আমি হাটে রসুন বিক্রয় করতে আসলে রসুন ব্যাপারি আমার রসুন ক্রয় করে। আমার রসুনের ওজন সঠিক পরিমাণে থাকার পরও আবার বস্তার ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম বাদ দিতে চায়, আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার রসুন জোর দেখিয়ে রসুনের খামালে ঢেলে নেয়। আমরা সাধারণ কৃষকরা ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।
বানেশ্বর হাটে পিঁয়াজ বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, যখন পিঁয়াজ জমি থেকে তুলে কাঁচা বা ভেজা অবস্থায় হাটে আনলে প্রতি মণে দুই থেকে আড়াই কেজি আমরা ঢলন দিয়ে থাকি। এখন তো পিঁয়াজ শুকিয়ে গেছে তার পরেও প্রতি মণে ২কেজি করে ঢলন দেওয়া লাগে। এ বিষয়টি দেখভালের জন্য প্রশাসন থেকে শুরু করে হাট ইজারাদার পর্যন্ত কেউ নেই।
পেঁয়াজ রসুন ক্রয় করতে আসার ব্যাপারী জানান, আমরা হাটের নিয়মে রসুন পেঁয়াজ কিনে থাকি। এই সকল রসুন-পেয়াজের একটা ঘাটতি আছে। আর এই ঘাটতি পোষানোর জন্যেই আমরা মূলত ঢলণ নিয়ে থাকি। তবে বর্তমানে পেয়াজ রসুনের যে অবস্থা তাতে এক কেজি করে নিলেও আর সমস্যা হবে না।
আমাদেরকে বিভিন্ন হাটে বিভিন্ন পরিমানে ঢলন দিয়ে থাকে হাট ইজারাদারগন। বর্তমানে বানেশ্বর হাটে মণে ২কেজি ঢলন আমরা নিয়ে থাকি।
বানেশ্বর হাট ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনেক বেশি টাকায় হাট নিয়েছি। এমনিতেই ঘাটে ব্যাপক লোকসান হবে। তবে খুব শীঘ্রই ঢলন কমানোর ব্যবস্থা করব।
এ ব্যপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর হোসেন নির্ঝর জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে অবগত হলাম। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।