রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে রাকসু সচল করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সমন্বয়করা।
এ সময় তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত হওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই রাকসু সচল করা হবে। ক্যাম্পাসে কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠনকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেই এই সুযোগে যেন কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠন হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এবং শিক্ষার্থীরা নিরাপদে হলে অবস্থান করতে পারে সেজন্য আমরা হল প্রশাসনে সাথে আলোচনায় বসি। হল প্রশাসনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ৭টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়কগণের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে হওয়ার সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন। সেগুলো হলো:
এখন থেকে শুধুমাত্র হলের বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন, ইতোপূর্বে যে সকল শিক্ষার্থী আবাসিকতা ছাড়াই হলে অবস্থান করছিলেন তাদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হলো, হলে কোনো ধরনের রাজনৈতিক ব্লক থাকবে না। পরবর্তী সিট বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক ব্লকের কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং চিহ্নিত কক্ষগুলো সিলগালা করা থাকবে, হলে আবাসনের নিয়ম ব্যতিরেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ যেকোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে হলে আবাসন কিংবা কোনো ধরনের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যাবে না, হলের কক্ষে বা করিডোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ কোনো ধরনের ক্ষমতার পরিচয় প্রকাশ করে এমন কোনো লেখা, ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট ইত্যাদি প্রদর্শন করা যাবে না, হলে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে, হলের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের রাজনৈতিক মিছিল, মিটিং, শো-ডাউন করা যাবে না।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহের প্রাধ্যক্ষসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কগণ উপস্থিত ছিলেন।