রামগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহি বিরেন্দ্র খাল। এ খালটির বিষয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। যুগের পর যুগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ফেলা ময়লা আবর্জনার কারনে তা ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। নোংরা পানি ও কচুরিপানায় অতীষ্ট হন বাসাবাড়ীর লোকজনসহ খালপাড়ে বসবাসীকারীরা। ডেঙ্গু সহ পানিবাহিত রোগ বালাই বৃদ্ধি পায়।
প্রায় অর্ধশত বছর এ খালটি কখনো সংস্কার বা পরিস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। রামগঞ্জ ব্লাড ডোনার’স ক্লাবসহ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আন্দোলন, স্থানীয় এলাকাবাসীর আকুতি এবং বিভিন্ন সংস্থা চেষ্টা করেও এ উপজেলাবাসীর অভিশাপ এবং গলার কাঁটা বিরেন্দ্র খাল পরিস্কারের চেষ্টা করা হয়নি কোন দফতর থেকেই।
অবশেষে গত ২২ আগষ্ট রামগঞ্জ উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে খালটি পরিস্কারের উদ্যোগ নেয় রামগঞ্জ ব্লাড ডোনার’স ক্লাব। খাল পরিস্কারে দফায় দফায় বসা হয় বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে।অবশেষে খালটির মূল অংশ সোনাপুর বাজারের গুড় হাঁটা থেকে রামগঞ্জ শহর পুলিশ বক্স ব্রীজ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার পরিস্কারে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসেন রামগঞ্জ, মৌলভী বাজার ও সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা। রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার দেবব্রত দাশের (ভূমি) উপস্থিতিতে ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হয় খাল পরিস্কার।
যা জেলাসহ সারাদেশব্যপি আলোচিত হয়। বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত এবং প্রচারিত হয় খাল পরিস্কারের আলোচিত সংবাদ।এরই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আজ সকাল থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলার ৫টি উপজেলার খালগুলো পরিস্কারের উদ্যোগ নেয় স্ব স্ব পৌরসভা।সকাল ৯টা থেকে রামগঞ্জ বিরেন্দ্র খালের পুর্বাংশ গোডাউন ব্রীজ থেকে বালুয়া চৌমুহুনি বাজার পর্যন্ত তিন কিলোমিটার খাল পরিস্কারে প্রায় শতাধীক লোক কাজ শুরু করেন।
রামগঞ্জ উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুনের সার্বিক তত্বাবধানে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবব্রত দাশের সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জে পি দেওয়ান। উপস্থিত ছিলেন, রামগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেন হেলাল, রামগঞ্জ ব্লাড ডোনার’স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদ ফারুকসহ পৌরসভার বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।