
স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে দুই কন্যা সন্তানকে সাথে নিয়ে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফাতেমা আক্তার নামে এক কর্মজীবী নারী। সোমবার (৫ মে) বেলা বারোটায় তার স্বামী মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত বাগেরহাট জেলা সদরের কাড়াপাড়া এলাকার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের ছেলে ইরাদুল মির্জার বিরুদ্ধে তিনি এই অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী বাগেরহাটের নাটইখালী এলাকার ফাতেমা বেগম খুলনা জজ কোর্টে রাজস্ব খাতে কর্মরত রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ২০১২ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার ইরাদুল মির্জার সাথে পারিবারিকভাবে তার বিবাহ হয়। ৩ বছর পর তাদের ঘরে তাজরিন জান্নাত নামে একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। কয়েক বছর পর মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টে কন্যা সন্তান হতে যাচ্ছে জানার পর সে আমাদের খুলনার বাসায় রেখে চলে যাই। যোগাযোগ ও খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেয়, ফোন দিলেও রিসিভ করেনা। সে ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে। দ্বিতীয় বাচ্চাটি জন্মগ্রহণের আজ ৮ মাস হলেও সে তার মুখ দেখেনি। সম্প্রতি জানতে পারলাম ফকিরহাট পিলজংগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে সালমা আক্তার (৪০) নামের এক মহিলাকে সে বিবাহ করেছে।
ফাতেমা বেগম আরো বলেন, আমার মা-বাবা নেই, দুইটি কন্যা সন্তান তাজরীন জান্নাত ও সানজিদা জাহান নববী কে নিয়ে দুঃসহ জীবন পার করছি। কন্যারা সার্বক্ষণিক তার বাবাকে কাছে পেতে চাই। বিষয়টি মীমাংসার জন্য লিগাল এইডের শরণাপন্ন হয়েছি। সে আমার ফোন পর্যন্ত রিসিভ করেনা। এখন সে বিভিন্ন কায়দায় মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি তার স্বামী ইরাদুল মির্জার বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ইরাদুল মির্জার সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে বসবাস করতে চাই তিনি কিন্তু সে ভাড়া বাসায় খুলনায় থাকতে চায়। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমার সমস্যা চলছে। স্ত্রীর আনিত অভিযোগ সঠিক নয়, এসব বিষয়ে তার বন্ধুর মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে একটা মিটমিমাংসার জন্য।
Please follow and like us: