আহাদ তালুকদার আগৈলঝাড়া, বরিশাল –
শুধুমাত্র পোল্ট্রি লালন-পালন করে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছেন বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শতাধিক খামারি। ব্রয়লার, সোনালী, লেয়ারসহ বিভিন্ন জাতের পোল্ট্রি পালন করেই সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন তারা।
উদ্যোক্তা ঝর্না বেগম বলেন, আগে সংসারে অনেক অভাব অনটন ছিল। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে ৮০০ ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে লালন-পালন শুরু করি,২১ দিনের মাথায় খরচ বাবদ ১৫০,০০০ টাকা খরচ হলেও ১৮০,০০০ টাকা বিক্রি করি। বাড়িতে বসে সংসারী কাজ করে যদি ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হয় তাহলে আর কি লাগে?
এবারে ডিসেম্বর মাসে কয়েক হাজার মুরগি উঠানোর স্বপ্ন দেখছি আশা করি সৃষ্টিকর্তার মেহেরবানীতে ফলস্বরূপ পাবো।
বর্তমানে অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হলেও ধীরে ধীরে সব কিছু আয়ত্ব করে নিয়েছি। মুরগি লালন পালন করেই নিজের ভাগ্য বদল করেছি। আমার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই পোল্ট্রি খামার গড়ে তুলেন।
মুরগি লালন পালনের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যবদলের গল্প শুনিয়েছেন একই উপজেলার সোহেল। তিনি জানান, আগে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। পরবর্তীতে মুরগির খামার দেন। সেই যে শুরু আর পিছনে ফিরতে তাকাতে হয়নি তাকে। লাভের টাকা দিয়ে তিনি সংসারে সচ্ছলতা আনার পাশাপাশি কিনেছেন ৪টি গরু। বর্তমানে তিনি সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে অর্ধ লাখ টাকা আয় করছেন বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও রূপালী বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি গ্রাম ঘুরে এমন আরও শতাধিক খামারি দেখা যায়, যারা মুরগি পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে তাদের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিলনা। কিন্তু পোল্ট্রি পালনের মাধ্যমে তাদের জীবনে এসেছে ব্যাপক সফলতা।
এ প্রসঙ্গে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান জানান, পোল্ট্রি পালন একটি লাভজনক পেশা। বর্তমান সময়ে মুরগির ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বাজারে ভালও দামও পাচ্ছেন খামারিরা। দেশের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে এসব খামারিদের ভূমিকা অপরিসীম। প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে নতুন নতুন খামারিদের বিভিন্ন ধরনের সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
Please follow and like us: