
“ বাঁচবো মোরা নিজের গাছের অক্সিজেনে ” এই শ্লো-গানে বিশেষ ব্যানার-ফেস্টুন সম্বলিত চারকোনা বিশিষ্ট একটি জনসচেতনতার ঠেলাগাড়ী নিয়ে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দেখা গেছে অধ্যাপক ‘তিতাস’ কে। অধ্যাপক তিতাসের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি পেশায় সরকারি কলেজের গণিতের শিক্ষক। চাকরী ও সংসার সামলে যখনই সময় পান, তখনই সবুজায়ন ও পরিচ্ছন্নতা-ক্যাম্পেইন নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। তিনি প্রচারনার চারকোনা বাক্স নিয়ে শহর,বন্দর, রাস্তা,বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,অফিস চত্বর সহ যে কোন লোকালয়ে হাজির হয়ে মানুষদের ডেকে এনে সচেতনতামূলক কথা উপস্থাপন করেন। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষের মনে দাগ কেটে যদি পরিচ্ছন্নতার প্রতি তাদের সচেতনতা সামান্যও বাড়ানো যায়, তাতেই তাঁর স্বস্তি। তার পুরো নাম, মোঃ আমিনুল ইসলাম তিতাস। বর্তমানে গণিতের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজে। ১৯৯২-৯৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে শেষ করেন পড়াশোনা। পরে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ২৪ তম ব্যাচে ‘আমিনুল ইসলাম তিতাস’ যোগ দেন শিক্ষকতায়।
তিনি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রসেয়া গ্রামের মরহুম আব্দুল মজিদের পুত্র। ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া এলাকায় তার বাসা রয়েছে। গতকাল সোমবার( ২৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ফকিরগঞ্জ বাজারে তিনি চারকোনা একটি বাক্সের ভিতরে অবস্থান করছিলেন। বাক্সের উপরে লেখা ছিল গাছের উপকারিতা সহ পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতামূলক নানা কথা, ছিল যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলার আহবানও। অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম তিতাস জানান, ২০১৪ সাল থেকে তিনি বৃক্ষ রোপন ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ব্যক্তিগত জায়গা থেকেই এ ধরনের ক্যাম্পেইন করে আসছেন। পরিচ্ছন্নতার বার্তা নিয়ে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায়ও গেছেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালে নিজে ও অন্যদের দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ২০ হাজার গাছ লাগিয়েছেন। অনুরূপভাবে ২০২২ সালে ৫০ হাজার গাছ লাগিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমার এই ক্যাম্পেইন একটু হলেও মানুষের মনে দাগ কাটবে বলে বিশ^াস করি। এ দাগই তাদের মধ্যে একটু পরিবর্তন আনুক,সেটাই আমার চাওয়া। চাকরি ও সংসার সামলে যখনই সময় পাই তখনই এ ক্যাম্পেইনে বের হই। “ বাঁচবো মোরা নিজের গাছের অক্সিজেনে” এমন শ্লোগান নিয়ে বিভিন্ন জেলা ঘুরছি। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একদিন আমি সফল হবই।