স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া :- কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি অসুস্থ মাকে দেখতে এসে মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণ ও হাসপাতালে পাশের বেডে চিকিৎসা নেওয়া রোগীরা স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন। ধর্ষিতার অসুস্থ মা দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালের ১২ নম্বর বেডে ডায়াবেটিস ও ফোড়া রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণ ও হাসপাতালে পাশের বেডে চিকিৎসা নেওয়া রোগীরা স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন। ধর্ষিতার অসুস্থ মা দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালের ১২ নম্বর বেডে ডায়াবেটিস ও ফোড়া রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এমতাবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক স্টাফ ধর্ষিতার মাকে ডেসিং করানোর কথা বলে তার মোবাইল নাম্বার নেন এবং তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠার জেরে গত শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে দশটা থেকে রাত্র বারোটা পর্যন্ত মেয়েটিকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। পরে অসুস্থ মা ও পাশের বেডের রোগীরা মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে মেয়েটির গায়ে শরীরে কাদা মাখা অবস্থায় কানতে কানতে হাসপাতালে ফিরে আসে। মেয়েটিকে সবাই প্রথমত জিজ্ঞেস করলে কিছু না বললে ও পরে তার মায়ের কাছে স্বীকার করেন দুই তিনটা ছেলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এমনটাই বলছিলেন পাশের বেডে চিকিৎসা নেওয়া রোগী হালিমা খাতুন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামরুজ্জামান সোহেল ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন আমি বিষয়টি জানার পরে খোকসা থানা পুলিশকে অবগত করি।
খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ এবিএম মেহেদীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ধর্ষিতার মায়ের কাছে গিয়েছিলাম তিনি এখন বিষয়টা অস্বীকার করছেন। তবে এ ধর্ষণের তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে অবশ্যই আমরা আসামীদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনবো।
Please follow and like us: