১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • দেশজুড়ে
  • গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের সংবাদ সম্মেলন




গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের সংবাদ সম্মেলন

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী, করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : মে ০৬ ২০২৫, ২১:১২ | 618 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক আব্দুল গাফফারের রাজশাহী মসহানগরীর একটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৬টায় নিরাপত্তার স্বার্থে ঘুষখোর ওসি রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর রিভারসিটি প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
ভুক্তভোগী আব্দুল গাফফার (৩২), তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার গড়ের মাঠ গ্রামের মোঃ মাওলা বক্সের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক। রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার নগর ভবনের পূর্ব পাশের (গোরহাঙ্গা) মার্কেটে একটি “ভিশন” নামের একটি শো রুম রয়েছে। এছাড়াও আমার পরিবহন ব্যবসায় নিজ মালিকানায় দুটি ড্রাম ট্রাক রয়েছে। ব্যবসার সুবাদে আমি রাজশাহী মহানগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করে আসছি।
গত ২০ জানুয়ারী ২০২৫ ভোর ৬ টার দিকে গোদাগাড়ী পৌরসভা ওয়াসা সংলগ্ন রাস্তার সড়কে আমার ড্রাম ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে এক ট্রলি হেলপারের মৃত্যু হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে আমার একটি ড্রাম ট্রাকটি জব্দ করে নিয়ে যায় গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ। শুরু হয় গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন এর ঘুষ বানিজ্য।
আমি থানায় গিয়ে ওসিকে একটি খামে ২০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করি। সেই সাথে দূর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের সাথে বসে তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থিক জরিমানা প্রদান করি। পরের দিন ২১ জানুয়ারী নিহতের স্বজনদের নিয়ে ট্রাক ছাড়াতে থানায় যায়। কিন্তু ওসি আরো ৩০হাজার টাকা দাবি করে। আমি তাকে বারবার অনুরোধ করে বলি আমার টাকা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নাই। তাছাড়া আমি ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ। নিহতের পরিবারের লোকজন তাদের দাবি পূরুন হয়েছে এবং আপোষ হয়েছে এই মর্মে ওসিকে জানায়। তারপরও ওসি নিজ সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। ৩০ হাজার টাকা ছাড়া কোন ভাবেই ট্রাক ছাড়বে না। ওইদিন আমার সাথে থাকা সাংবাদিক আবিরকে দেখিয়ে কটুক্তি করে বলেন হাফ সাংবাদিক। শেষ পর্যন্ত রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাজশাহী, মোঃ খাইরুল আলম এর মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে ওসির হয়রানীর সার্বিক বিষয়গুলি অবগত করা হয়। পরে ওই উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে রাত ১২ টায় ট্রাকটি আমার জিম্মায় ছেড়ে দেন ওসি।
সেই থেকে বিভিন্ন লোকজনের মারফতে জানতে পারি ওসি আমার উপর ক্ষুদ্ধ। আমাকে মাদকের মামলা-সহ বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে ফাঁসাবে বলে আজ আবদি হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, গোদাগাড়ী থানায় মাদকের উল্লেখ যোগ্য কোন অভিযান নাই। বরং পূর্বের ওসির তুলনায় বর্তমান ওসি দায়িত্ব নেওয়ার পরে মাদকের কারবার আরও বেগবান হয়েছে। নেপথ্যে ওসির সখ্যতা রয়েছে। ইহাতে কোন সন্দেহ্ নাই। আমার এই প্রতিবাদ ওসিকে আরও ক্ষুদ্ধ করেছে। তাই ওসি রুহুল আমিনের চক্রান্ত করে, আমাকে কোন প্রকার বিপদে ফেলতে না পারে, সেই বিষয়টি গড়ণমাধ্যম কর্মীদের লিখুনির মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান। সেই সাথে ওসি রুহুল আমিনকে গোদাগাড়ী থানা থেকে প্রত্যাহারের জন্য রাজশাহী জেলা ডিআইজি মহাদয়, পুলিশ সুপার মহাদয়-সহ সকল উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মোঃ রুহুল আমিন জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সব মিথ্যা। মাটি সংক্লান্ত বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে সাংবাদিক গাফফার এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে দাবি করেন ওসি।
উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) ছড়িয়ে পড়ার পরে ওসি সাংবাদিক গাফফারের ভাই মোঃ হযরত আলীকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে হুমকি দেন। বলেন, তোর ভাইকে না পারলেও তোকে মাদক দিয়ে ফাঁসাবো। বিষয়টি সাংবাদিকদের অবগত করেন গাফফার।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET