জামায়াত বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায় ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়  -মাওলানা আবদুল হালিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, যারা বিগত সময়ে নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, সেই পরাজিত শক্তি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার হারিয়েছে। কর্তৃত্ববাদী দল আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতা দখলে রেখে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় ১১ জন নেতাকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফাঁসিতে ও কারাগারে বন্দি রেখে বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বিরোধীদল ও মতের হাজার হাজর নেতাকর্মীকে নির্যাতন-নিপীড়নে জর্জরিত করেছে। তিনি আরও বলেন, জামায়াত প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, তবে অন্যায়কারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। জামায়াতে ইসলামী বিভাজন ও বৈষম্যমুক্ত ন্যায় ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই নতুন বাংলাদেশ গড়তে পতিত স্বৈরাচারের যে কোনো ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা শক্তহাতে রুখে দিবে।

১৫ নভেম্বর, শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় শহীদ দিনাজপুরের বিরলের বাসিন্দা আসাদুল হক বাবুর নবজাতক শিশু কন্যাকে দেখে পরিবারের সাথে সাক্ষাতকালে এবং দিনাজপুরে জামায়াতের অফিসে জেলা মজলিসে শূরার পৃথক দুটি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

দিনাজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নবনির্বাচিত আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে মজলিসে শূরার অধিবেশনে মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হককে সেক্রেটারি এবং রাজিবুর রহমান পলাশ ও সাইদুল ইসলাম সৈকতকে সহকারী সেক্রেটারি করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কর্মপরিষদ গঠন করা হয়। অধিবেশনে জেলা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি এবং ৩ জনকে সহকারী সেক্রেটারি করে ১৫ সদস্যের মহিলা বিভাগীয় কর্মপরিষদও গঠন করা হয়।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও চিরিরবন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দীন মোল্লা এবং সাবেক জেলা আমীর আনোয়ারুল ইসলাম।

দায়িত্বশীল নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান অতিথি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্ব পালন কোনো আনন্দের বিষয় নয়। জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্ব আসলে মিষ্টি বিতরণ হয় না।  দায়িত্বের গুরুভারের কারণে চোখে পানি চলে আসে। জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নির্বাচনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এখানেই। সকল দায়িত্বশীলকে পারস্পরিক মধুর ও সহযোগিতা মূলক সম্পর্কের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী ও সাংগঠনিক কাজ সমানভাবে আঞ্জাম দিতে হবে। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে সকলকে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি আহ্বান জানান।