
ডুমুরিয়ায় এক মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীর উদাসীনতায় জোয়ারের পানিতে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে লবণ পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে পাকা বোরো ধান, ঘরবাড়ি ও মৎস্য ঘের। দুশ্চিন্তায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও মৎস্য চাষীরা। শুক্রবার উপজেলার গোলাপদহা ও ছোট মুড়াবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নে ১৭/১ পোল্ডারের আওতায় সালতা -ঘেংরাইল নদী খনন চলাকালীন তেলিগাতি নদীর মুখে একটি ক্রসবাঁধ দেয়া হয়। সম্প্রতি নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই ক্রস বাঁধটি ভেঙে যায় এবং পাশ্ববর্তী ঘের ব্যবসায়ী প্রশান্ত ঘোষ পোল্ডারের ভিতরে লবন পানি উঠানোর জন্য পাইপ স্থাপনের লক্ষ্যে নদীর পাশে খনন করে যেনতেন ভাবে একটি বাঁধ দিয়ে রাখে। গতকাল দুপুরে প্রবল জোয়ারের স্রোতে ঘের মালিকের দেয়া দূর্বল বাঁধ ভেঙে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই জোয়ারের পানি গোলাপদহা ও ছোট মুড়াবুনিয়া বাহির চরে ঢুকে পড়ে এবং ২৫/৩০ বিঘা পাকা বোরো ধান ক্ষেত, ৮/১০টি মাছের ঘের ও বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর তলিয়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে একাধিক কৃষক অভিযোগ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হাসানুর সরদার, আবু সাঈদ,বিনয় মিস্ত্রী,সরজিত সহ অনেকেই বলেন, অনেক ধার দেনা করে ধান ও মাছ চাষ করেছি।ঘের মালিক প্রশান্ত ঘোষের গাফিলতিতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এখন আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। অভিযুক্ত ঘের মালিক প্রশান্ত ঘোষ বলেন,আমি ইচ্ছাকৃত এ ঘটনা ঘটায়নি। তাছাড়া আমি ঠিকঠাক বেড়ীবাঁধও দিয়ে রেখেছি কিন্তু হঠাৎ নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধটি ভেঙে পানি ভিতরে প্রবেশ করেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা দৌলত হোসেন, সমাজসেবক শাহিন হোসেন সহ অনেকেই। ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের আশ্বস্ত করেন অন্যথায় উদাসীন ঘের মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
Please follow and like us: