খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আঁঠারোমাইলে ব্যস্ততম মহাসড়কের উপর কাঁচামালের আড়ৎ গড়ে উঠায় জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্কুল শিক্ষার্থী, বাসযাত্রী, পথচারীসহ সাধারণ মানুষ। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে পথচারীদের। আড়তটি স্থানান্তর করার জন্য জেলা প্রশাসকসহ কয়েকটি দপ্তরে আবেদন করেছেন বাজার প্রতিষ্ঠাতাসহ এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে ও লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১৮ মাইল বাজার সংলগ্ন খুলন-সাতক্ষীরা ও যশোর -সাতক্ষীরা ব্যস্ততম মহাসড়কের দু’পাশে এ কাঁচামাল আড়তটি অবস্থিত। এখানে প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে মালতিয়া, আটলিয়া, নরনিয়া, আঠারমাইল, আরশনগর, মাগুরাঘোনা, কাঁঠালতলা, চাকুন্দিয়া, কুলবাড়িয়াসহ পাশ্ববর্তী তালা ও কেশবপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সকাল ৬টা হতে ১০টা পর্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজি বেচাকেনা হয়। সড়কটি খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাইপাস পাইকগাছা সড়কের মিলনস্থল হওয়ায় এর গুরুত্ব অনেক বেশি। আর এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন খুলনা-সাতক্ষীরা, খুলনা- যশোর ও পাইকগাছার কয়েক হাজার যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, মাহেন্দ্রা, মটরসাইকেল সহ ছোটবড় যানবাহন চলাচল করে আসছে। কিন্তু সকালে মালামালের এতই চাপ ও কৃষি পণ্য ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীড়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পথচারীরাও রাস্তা পার হতে হিমশিম খাচ্ছে।
অনেক সময় যাত্রীবাহী বাস ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে দাঁড়িয়ে থাকায় বিভিন্ন জেলা উপজেলার অফিসে যাওয়া চাকুরীজীবিরা সময়মত অফিসেও যোগদান করতে পারে না। এছাড়া এ স্থানে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অনেকে। আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চাকুরীজীবি বলেন, প্রতিদিন সকালে এখানে আসলে আমরা যানজটের কবলে পড়ি। যে কারণে অনেক সময় নির্ধারিত সময়ে অফিসে যেতে পারি না। কাঁচামাল বাজার প্রতিষ্ঠাতা শেখ নুর ইসলাম কোহিনুর বলেন, ব্যস্ততম এ মহাসড়কের দু’পাশে কাঁচামাল বাজারে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এবং বাজার চলাকালীন সময় যানজট লেগেই থাকে। এতে জনভোগান্তির শেষ নেই। এ নিয়ে প্রশাসন আমাদের কয়েক দফা সতর্ক করেছেন। কাঁচা বাজার কমিটির সভাপতি আতিয়ার রহমান বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা প্রায় ১২ ধরে রীতিমতো কর খাজনা দিয়ে এ আড়তে ব্যবসা করে আসছি। মহাসড়কের উপর বাজার বসানোর অনুমতি আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে জমির মালিকের সাথে কথা বলতে বললেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খর্ণিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, হাইওয়ের উপর যানজট নিরসনে আমরা বাজার কমিটিকে বারবার তাগিদ দিয়েছি এবং আমাদের তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে এবং উর্ধ্বতন মহলকে অবগত করেছি।
Please follow and like us: