দুর্নীতি করবো না, দুর্নীতি সইবো না
ইমরান খান রাজ
দুর্নীতি ! যা অনেকটা ক্যানসারের মতো। এই দুর্নীতি নামক ক্যানসারে আক্রান্ত হলে ধীরে ধীরে একটি পরিবার, সমাজ বা দেশ ও জাতি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হতে থাকে। দুর্নীতি সকল ভালো কাজের অন্তরায় ! দুর্নীতির ফলে একজন মানুষ যেমন তাঁর নিজস্ব অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তেমনি দুর্নীতির কালো থাবায় নুইয়ে পরে অর্থনৈতিক অবস্থা। জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন শুরু করে। এই দিবস পালনের মূল ও মূখ্য উদ্দেশ্য হলো, দেশের সামগ্রিক দুর্নীতি রুখে দেওয়া ও মানুষকে দুর্নীতি সম্পর্কে অবহিত সচেতন করা। যাতে সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ করতে পারে৷
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষেরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, ভূমি, ব্যাংকিং, পাসপোর্ট, আইন শৃঙ্খলা ও বিচারিক ইত্যাদি সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ দেন। এই ঘুষ লেনদেনের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত। এর মাধ্যমে প্রতিবছর হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করে দুর্নীতিবাজরা। আমাদের দেশের রাজনৈতিক অবস্থা লক্ষ্য করলে দেখা যায় ক্ষমতার অপব্যবহারের চিত্র। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মই বেয়ে যেনো আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায় অবস্থা ! ওসি প্রদীপ কিমবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার মালেক তাঁর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ। এছাড়া অর্থপাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন বা অর্থ আত্নসাৎ কারণে দেশে দুর্নীতির হার বেড়েই চলেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর নজরদারি আড়ালে এখনো বহু দুর্নীতিবাজ ঘোরাঘুরি করছে। যাদেরকে যথাযথ আইন দ্বারা শায়েস্তা করা উচিত।
দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি করা দরকার। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। দুর্নীতি শক্ত হাতে দমন করতে হবে। হয়তো একদিন বা একবছরে দেশের সকল দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব না। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুর্নীতির হার হ্রাস করা সম্ভব। সকলের প্রতিরোধ বা প্রতিবাদের মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তাই আসুন, দেশকে ভালোবাসি। দেশের স্বার্থে দুর্নীতিকে না বলি। আমরা সবাই দুর্নীতি করবো না, দুর্নীতি সইবো না।
নামঃ ইমরান খান রাজ
শিক্ষার্থী, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ।
Please follow and like us: