কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হাতের মেহেদী রং মুছে যাওয়ার আগেই গৃহবধূ আছমা আক্তার জেরিন (১৯) খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামে। ওই গৃহবধূর মৃত্যুর পর থেকে তার শশুর বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, সাতবাড়ীয়া গ্রামের নুর আফজাল মোল্লার মেয়ে আছমা আক্তার জেরিনের (১৯) সাথে একই গ্রামের সিরাজ মজুমদারের ছেলে নাজমুল মজুমদারের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিলো। এরপর পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জেরিনের ননদ মায়া বেগম ও ভাসুর কামরুল হাছান মেনে নিতে পারেননি। বিয়ের দুই মাস পর নাজমুল সৌদিআরবে চলে যাওয়ার পর থেকে তার উপর মানসিক নির্যাতন করতে থাকে শশুর বাড়ীর লোকজন। সোমবার রাতে জেরিন তার শ্বশুর বাড়ীতে শ্বশুর, ভাশুর, ননদ ও জ্যার সাথে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিল। এসময় জেরিনের বড় ভাই আতিক প্রবাস থেকে ফোন করলে কাজ রেখে ভাইয়ের সাথে কথা বলতে ঘরে চলে যায় জেরিন। এতে জেরিনের ভাসুর নাজমুল, ননদ মায়া বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে ঢুকে তাকে গলা টিপে ধরে ও কিল ঘুষি মারলে ঘটনাস্থলে জেরিনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করে নিহতের পরিবার। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জেরিনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে এটিকে আত্নহত্যা বলে অপপ্রচার চালায়।
জেরিনের মা হাছিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, জেরিনকে শশুর বাড়ীর লোকজন খুন করেছেন। অপরাধিদের কঠিন বিচারও চান তিনি।
জেরিনের জেঠা নুরুল হুদা মোল্লা বলেন, তার ভাতিজিকে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে মারধর করে হত্যা করেছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুৃমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।