অনলাইন ডেস্কঃ- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না দেশের চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানা কিংবা তার স্বামী ওয়াহিদ সাদেক।
শাবানার স্বামীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাস ও এদেশে ভোটার জটিলতার কারণেই শাবানা দম্পতি নির্বাচনী মাঠে থাকতে পারছেন না।
তবে শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদেকের ভাইপো সুমন সাদেক বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমত ওনারা ভোটের রাজনীতি কিংবা এসব কাজে পারদর্শী না, এজন্যই ভোট করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এএসএইচকে সাদেকের সহধর্মিণী ইসমাত আরা সাদেক ওই আসনের এমপি। ফলে ওয়াহিদ সাদেক নির্বাচন করলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হতে পারে, এ কারণেই তাকে আরেকবার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। জানায় সূত্র।
ইতোপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওয়াহিদ সাদেককে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের ভাই উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে মরহুম সাদেক পত্নী ইসমাত আরা ‘ভাই’ সম্পর্ক নয় উল্লেখ করে গণমাধ্যমে প্রতিবাদ পাঠিয়েছিলেন।
এরআগে, চলতি বছরের জুলাই মাসে শাবানা স্বামীকে নিয়ে কেশবপুরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছিলেন। সে সময় শাবানা একাধিক মতবিনিময়ে জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি শাবানাকে নিবার্চন করতে বলেন। তবে তিনি নিজে এ মুহূর্তে নিবার্চনে না আসতে চাইলেও স্বামী ওয়াহিদ সাদিক যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসন থেকে নিবার্চন করবেন বলে ঘোষণা দেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০০ সালের পর থেকেই সিনেমার শুটিং থেকে মুখ ফিরিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা। স্বামী- সন্তান নিয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেওয়ায় সাধারণের চোখে পড়েননি তিনি। তবে, নির্বাচনে স্বামীর প্রার্থিতার বিষয় নিয়ে মিডিয়ার বদৌলতে বছরখানেক ধরেই আলোচনায় আসেন দেশের এই অভিনেত্রী।
এদিকে ওয়াহিদ সাদেক বংশেরই সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত এএসএইসকে সাদেকের সহধর্মিণী ইসমাত আরা সাদেক বর্তমানে এই আসন থেকে এমপি হয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ঠাঁই পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। তবে, ইসমাত আরা গত পাঁচ বছরেও উপজেলা আওয়ামী লীগেরর সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা চেয়ারম্যানসহ দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে কোণঠাসা করেছেন নেতাদের। ফলে তার পরিবর্তে অন্য যে কাউকে মনোনয়ন নিতে স্থানীয় সব আওয়ামী লীগ নেতা এক হয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসছে, ফলে এবার তো সস্তা ভোট হবে না। সেক্ষেত্রে জনমত জরিপ আর তৃণমূলের মতামত গুরুত্ব না দিলে স্থানীয় প্রবীণ-ত্যাগী নেতাদের মূল্যয়ন আমলে না নিয়ে মনোনয়ন দিলে দলকেই খেসারত দিতে হবে। আমরা চাই, যেই হোক না কেন, যিনি কেশবপুরের মানুষকে চেনেন, উপজেলার রাস্তা-ঘাট চেনেন, নিজের মতামত দিয়ে মূল্যয়ন করতে জানেন এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিই মনোনয়ন পায়। তাহলে সবাই মিলে আবারও এই আসনে প্রকৃত ভোট দিয়েই নৌকার জয় সুনিশ্চিত হবে।