দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকারে করণীয় বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির বিজয় মিলনায়তনে ১ নভেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকারে করণীয় নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী। উপস্থিত ছিলেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষকবন্ধু আবদুল মান্নান আজাদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নূরজাহান নীরা, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, সদস্য আফতাব মন্ডল, আমিনুল ইসলাম খোকন প্রমুখ। এসময় মোমিন মেহেদী তাঁর বক্তব্যে বলেন, গত ৩০ বছর ধরে রাজনীতির নামে অপরাজনীতিকদের কারণে বাংলাদেশে চাঁদাবাজি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পালাবদলের রাজনীতিতে আসন্ন ক্ষমতাসীন ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নীরব চাঁদাবাজি ‘ওপেন সিক্রেট’-এ দ্রব্যমূল্য এখন পাগলা ঘোড়া। গোপন তবে সবারই জানা। শীর্ষ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী, ফুটপাতের হকার, মুদি দোকানদার, শিল্প কারখানার মালিক, সব ধরণের পরিবহন ব্যবস্থা এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারাও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এলাকা হিসেবে রাজধানী ঢাকা থেকে বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা বাণিজ্য কেন্দ্র সর্বত্রই চাঁদাবাজি চলছে। শীর্ষ স্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকের খবর অনুযায়ী, কারাবন্দি, দেশের বাইরে থাকা এবং এমনকি নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের চেলাচামুণ্ডা, ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, পরিবহন শ্রমিক, মালিক সমিতি এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। ব্যাপক এই চাঁদাবাজির শিকার যদিও প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ীরা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এর বেশির ভাগ ক্ষতি বহন করতে হয় সাধারণ মানুষ বা ক্রেতাদেরই। এমতবস্থায় দ্রব্যমূল্যরোধে চাঁদাবাজি, চুরি, রাহাজানি ও ছিনতাই বন্ধ করতে সেনাবাহিনী-পুলিশ-প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে এগিয়ে আসতে হবে, প্রয়োজনে নিয়ম মেনে পায়ে গুলি করার নির্দেশকে কার্যকর করতে হবে, চাঁদাবাজির স্থান হিসেবে চিহ্নিত স্থানগুলোতে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। গণমাধ্যমের কল্যাণে জেনেছি- পরিবহন খাতে ও মার্কেটগুলোতে এখনও চাঁদাবাজি হচ্ছে অহরহ। নতুন বাড়িঘর নির্মাণ, বিয়ে-সাদি এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানেও চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে কিংবা দিতে অস্বীকার করলে হামলা-মামলার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। এসব জায়গায় যারা চাঁদাবাজি করে তাদের অনেকেই এলাকাভিত্তিক চেনাজানা। এই চেনাজানারা নতুন করে যারা ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে, তাদেরই নেতাকর্মী বলে তথ্য পাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে নতুনধারার নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, একদিকে মূল্যস্ফিতি অন্যদিকে চাঁদাবাজী সেই সাথে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নির্মমভাবে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে, দুর্নীতির ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। মুক্তির একমাত্র পথ হলো- লোভ- মোহহীন-হিংসামুক্ত ন্যায় পরায়ণ নেতৃত্ব তৈরির পাশাপাশি সকল স্থানে নীতিবান ব্যক্তিদেরকে নিয়োগ করা। তা না হলে এই অথর্ব উপদেষ্টা আর আমলাদের ব্যর্থতায় আওয়ামী আমলের চেয়েও বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।