
অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ইউনিফর্ম ও স্কুল ব্যাগে কাধে নিয়েই ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণার স্কুল জীবন শুরু।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ইউনিফর্ম পরে সে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। এর আগে ১৬ মার্চ রাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ইউনিফর্ম ও নতুন ব্যাগ তার হাতে পৌছে দেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিক্ষার্থী স্বর্ণার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতাও প্রদান করা হয়। এছাড়াও তার চিকিৎসার জন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এককালীন অনুদানের টাকা প্রদানের আশ্বাস প্রদানের প্রক্রিয়াও চলমান।
সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণা পৌর শহরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ক্ষুদ্র সুপারি ব্যবসায়ী মো. শাহিনুর ইসলামের মেয়ে। তার বাবা ফেরি করে সুপারি বিক্রি করেন।
গত ১৬ মার্চ সকালে ক্ষুদ্র সুপারি ব্যবসায়ী শাহিনুর ইসলাম এর মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাই সিনহা স্বর্ণা টাকার অভাবে টেইলার্সে দেয়া ইউনিফর্মটি তুলতে পারায় স্কুলে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে এবং তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসক কে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব। এর পরই সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
নতুন ইউনিফর্ম ও ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণা’র কাছে জানতে চাইলে,সে বলে আমি অসুস্থ,প্রধানমন্ত্রী আমাকে নতুন ইউনিফর্ম এবং আমার চিকিৎসার জন্য সহায়তা দিয়েছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। নতুন ইউনিফর্ম পরে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাচ্ছি। আমার খুব ভালো লাগছে,অনেক আনন্দ লাগছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসেম আলী সকালে সুমাইয়া সিনহা স্বর্ণার নতুন ইউনিফর্ম ও ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তার বাবা শাহিনুর আলম বলেন,আমার মেয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগী, তাই তাকে নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকি,মাননিয় প্রধান মন্ত্রী আমার মেয়ে কে সহায়তা প্রদান করেছেন এ জন্য আমি কৃতঙ্গতা সহ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া সিনহা কে নতুন ইউনিফর্ম,ব্যাগ দেয়া হয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এককালীন অনুদানের টাকা প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই তা পাবেন বলেও জানান তিনি।