৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




বেনাপোলের গর্বিত বাবা মায়ের গর্বিত সন্তান আব্দুল্লাহ ভুমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ

সোহাগ হোসেন, বেনাপোল,যশোর করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : নভেম্বর ১৮ ২০২৪, ১৯:৪০ | 616 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

আব্দুল্লাহ গর্বিত বাবা মায়ের গর্বিত সন্তান। গর্বিত ভাইয়ের গর্বিত ভাই। জীবন দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করে সে শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে গর্বিত। সরকার শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের পাশে দাড়াতে আজ অঙ্গীকার বদ্ধ। আব্দুল্লাহ জীবন বিসর্জন দিয়ে জাতিকে আজ কৃতজ্ঞ করেছেন। সরকার তার পরিবারের পাশে আর্থিক সহযোগিতা সহ সকল প্রকার সহযোগিতার জন্য কাজ শুরু করেছেন। যে ফ্যাসিবাদি সরকার তার নৈতিক অবক্ষয়ের কারনে পলায়ন করেছে আবার তারা ফ্যাসিবাদি সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ফিরে আসার অপচেষ্টা করছে তাদের সে আশা পুরুন হতে দেওয়া যাবে না। যারা পতিত হয়ে গেছে তারা পতিত হয়ে থাকবে। দেশে আর কোন ফ্যাসিবাদি হত্যা গুম এর শিকার হবে এমন সরকার আসবে না। সে লক্ষে বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করতে এসে সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্য কথাগুলো বললেন গনপ্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ এর অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় এবং ভুমি মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। ঢাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করেছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। এ সময় তিনি শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সোমবার (১৮ নভেম্বর ) বেলা ১২ টায় শার্শা উপজেলার বেনাপোল বন্দর নগরীর বড় আঁচড়া গ্রামে আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ও যশোর জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম। এ সময় অন্তর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন,’আব্দুল্লাহর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে শিার্থীদের আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তার পরিবারের জন্য যা প্রয়োজন সরকার তা করবে।’ উপদেষ্টা সেখানে পৌঁছানোর পর আব্দুল্লাহর মা মাবিয়া খাতুন, বাবা আব্দুল জব্বার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা সন্তান হত্যা বিচার চান। আব্দুল্লাহর মা মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলেকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। যারা গুলি করেছে ও নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত তাদের বিচার করতে হবে। তবেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।’ উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিার্থী আব্দুল্লাহ পুলিশের গুলিতে আহত হন। জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে। এমন অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন। প্রথমে তাকে মিটফোর্ড এবং পরে ঢামেকে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পরে মারা যান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নজিব নাজিব হাসান, বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি রাছেল মিয়া, শার্শা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোস্তাফিজজ্জোহা সেলিম, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবু তাহের ভারত, শার্শা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদা প্রমুখ।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET