
রাজশাহী মহানগরীতে আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে গঠিত সকল স্তরের কমিটি বাতিল ও যুবদল নেতা বাবলুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুরের আসামীদের দল থেকে বহিস্কার ও গ্রেফতারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার থানার সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টুর নেতৃত্বে মহানগরীর বাটার মোড় এলাকা থেকে এ বিক্ষোভ মিটিল অনুষ্ঠিত হয়।
এরআগে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে মহানগরীর চারথানা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা ও মহল্লা কমিটির নেতা-কর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বাটার মোড়ে জড়ো হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সাহেব বাজার মনিচত্বর ঘুরে কুমারপাড়া হয়ে সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট জলিল বিশ্বাস মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে বিএনপি বোয়ালিয়া থানার সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, দখলদার, চিহিৃত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভুতপূর্ব আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে গঠিত মহানগর, থানা, ওয়ার্ড কমিটি বাতিল করতে হবে। সেই সাথে নিয়মবহিভূত সোকজ ও বহিস্কার বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাড়িকে অগ্নিসংযোগ ভাংচুর কারী আসামীদের দল থেকে বহিস্কার ও গ্রেফতার করতে হবে। তিনি শতর্ক করে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শিঘ্রই কঠোর কর্মসূচি ঘোষনার মাধ্যমে রাজপথে নামবেন তারা।
সমাবেশে আবুল কালাম আজাদ সুইট অভিযোগ করে বলেন, নতুন কমিটিতে এমন অনেককে নেতৃত্বে আনা হয়েছে, যাদের অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। রাজপাড়া থানার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন স্যানিটারি মিস্ত্রী মিজানকে, যিনি আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামও আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে নিবেদিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ও অপরিচিতদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে যুবদল নেতা রুহুল আমিন বাবলু সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেন। এরপরই তার বাড়িতে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।
সমাবেশে আরও অভিযোগ করা হয়, রাজশাহীর বিভিন্ন কমিটিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক কর্মীদের যুক্ত করা হয়েছে। এমনকি একাধিক হত্যা মামলার আসামিও এখন বিএনপির একজন সদস্য সচিবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত রয়েছে।’
বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘এই কমিটির নেতৃত্বে থাকা কিছু ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে সন্দেহ রয়েছে। তারা প্রকৃত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।’
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে বিতর্কিত কমিটি বাতিল, হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি, এবং বিএনপির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাসিক ১৩নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম মিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন দিলদার, মতিহার থানার সভাপতি মোঃ আনসার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খাসদার আলী, শাহদুম থানা সভাপতি মোঃ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিন, রাজপাড়া থানার সভাপতি মোঃ শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন-সহ সাবেক যুবদল মহানগর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সেচ্ছাসেবক সাবেক রিমন, ভারপ্রাপ্ত সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ফামিন, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল প্রমুখ।