
জানা যায়, তিন মেয়ে, দুই ছেলে, মা, বোন ও এক নাতনীকে নিয়ে সংসার ছিল নিহত আবুল কালামের। আটজনের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম আবুল কালামকে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে শ্রীপুরের মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সাতখামাইর বাজারের চেরাগআলী মাজার এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির সময় ডাকাতদল সিএনজি চালক আবুল কালামকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে ৮ সদস্য নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় স্ত্রী পারুল আক্তারকে। স্বামীর মৃত্যুর পর অসহায় হয়ে পড়া পরিবারটির এমন খবর শুনে ছুটে যান অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্দেশনায় গঠিত নিপীড়িত নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা সেল থেকে দেওয়া হবে।
নিহতের স্ত্রী পারুল আক্তার জানান, অন্যের জমিতে ৪০বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন তারা। সিএনজি চালিয়ে পরিবারের হাল ধরেছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম আবুল কালাম। দিনে ছেলে ও রাতে বাবা সিএনজি চালানোর পাশাপাশি কৃষি কাজ করতো সে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তিনি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বের হন। মধ্যরাতে ডাকাতের হামলায় আহত হয়ে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ডাঃ বাচ্চু জানান, যাত্রীসহ সিএনজি আটকে ডাকাতি করতে বাধা দেয়ায় চালককে নৃসংশ ভাবে হত্যা করে ডাকাতদল। এত বড় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সিএনজি চালক আবুল কালাম আমরা পরিবারটির সহযোগিতা করতে এখানে এসেছি। পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে, এছাড়াও হত্যাকান্ডের বিচার যাতে হয় তার জন্যও আইনগত সহায়তাও বিএনপি’র পক্ষ থেকে দেয়া হবে। পরিবারটির ভিটেমাটি বলতে কিছুই নেই, অন্যের জমিতে বসবাস করে। স্থানীয় সমাজ সেবক আব্দুল হেকিম ও তার দুই ভাই পরিবারটিকে পাঁচ শতাংশ জমি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোসলেহ উদ্দিন মৃধা, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ইউসিসিএ’র (বিআরডিবি)’র সভাপতি সাংবাদিক এসএম মাহফুল হাসান হান্নান, আহ্বায়ক সদস্য আবদুল হান্নান সজল, বিএনপি নেতা রমজান আলী, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রিপন ফকির, যুবদল নেতা সালেহ আহমেদ প্রমুখ।