
১৬ কোটি তোমার জন্য জাগ্রত
সাহিদা সাম্য লীনা
জান নুসরাত,
বিগত কয়েক বছরে বৈশাখে নানারকম সহিংসতা হলেও এবার যারা বৈশাখ পালন করেছে তার নির্ভিগ্নে পালন করেছে। ঢাকা শহরে প্রচুর র্যাব,পুলিশ মোতায়েন হয়েছিল। সারাদেশেও ছিল নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা! তোমার এলাকা তোমার শহরও! জান কেন? তোমার জন্য! তোমার জন্য একটা শৃঙ্খলা এবার এলো, আবারও আসবে, যদি সুবিচার হয়। অমানুষ গুলো যদি একটা শিক্ষা পায়!! যদি রক্ষকরা ঠিক হয়ে পড়ে, সমাজ ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যায়! জান নুসরাত, তোমার মতো মেয়েরা এবার জমে আনন্দ করেছে।পাশাপাশি তোমাকেও মনে করেছে। তোমার শহরটা এ দিনেও তোমার খুনিদের সর্বোচ্চ বিচার নিয়ে লড়াই করে যাচ্চে। এমন দিন, এমন বৈশাখ! কখনো দেখা যায়নি অবুঝ, নিস্পাপ সবাই তোমার তরে কাঁদছে।
এ লড়াই থামবেনা। মনে হয় না। কী প্রতিবাদী করে তুলেছ তুমি সব্বাই কে! তোমার কাছ থেকে পেয়েছে এত্তো সাহস। দুর্ভাগ্য, আমি তোমার জন্য কিচ্ছু করতে পারিনি। কেননা গুজব, সাম্প্রদায়িক ইস্যু, ধর্মীয় আঘাত ভেবে আমাকে রুদ্ধ হতে হবে। যদি ক্ষমতাসীনেরা ভুল বোঝে! অপেক্ষার প্রহরে দেখি তুমি নাই হয়ে গেছ! ইশ! দেরী হয়ে গেল! ততক্ষণে, তুমি হয়ে গেছ আকাশের সুখ তারাদের বন্ধু। জান নুসরাত, তোমাকে এখন কে না চিনে?
প্রতি পত্রিকায় তোমার খবর! কখনো ভেবেছ তুমি কি হবে? নববর্ষের পাতায় তুমি! যেখানে যাই সেখানেই নুসরাত। নুসরাত! একটা ধাক্কা দিয়ে গেছো প্রচন্ড ; ১৬ কোটির অন্তরে। এটাই দরকার ছিলো। তবে আপসোস তুমি নেই! প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তোমার প্রিয় মা বাবা,ভাইয়েরা। জান নুসরাত, তোমার ভাই ব্যাংকে চাকরি পেয়েছে! যে চাকরি টা সহজে মেলেনা,অন্তত এভাবে না। সবই তোমার জন্য। তোমার ছোট ভাইটির লেখাপড়া সহ সব দায়িত্ব এখন প্রধানমন্ত্রীর! তুমি থাকলে কী খুশী হতে, তাইনা? শুন নুসরাত, এতো ভেবোনা, তোমাকে অকালে এতো নিষ্ঠুর করে যারা ঐ ভুবনে পাঠিয়েছে তারা আর কি রেহাই পাবে,ভেবেছ, কখনো না।জান ওদের বিচার হচ্ছে। তোমার হুজুর নামক শয়তানের তো হবেই! একটুও ভেবোনা! এখন তুমি হাস মিষ্টি ঐ মুখে ! একটু ভালো থাক! ঘুমাও নিশ্চিন্তে ! ১৬ কোটি তোমার জন্য জাগ্রত।