পঞ্চগড়ের আটোয়ারী নেছারীয়া ছালেহীয়া খানকাহ শরীফের আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(স.) উদযাপন উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিল ও ইছালে ছওয়াব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) খানকাহ শরীফে অনুষ্ঠিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ছারছীনা দরবার শরীফের উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট খাদেম ও বাংলাদেশ জমইয়াতে হিজবুল্লাহ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ¦ সুফি মোঃ আব্দুল গণি। আলহাজ¦ মোঃ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় খানকাহ শরীফের সফলতার কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) এর তাৎপর্য শীর্ষক নিয়ে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ ফরমান ছারছীনা দরবার শরীফের আলা হযরত পীর সাহেব কেবলাহর সফর সঙ্গী, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ওয়ায়েজিন আলহাজ¦ হযরত মাওলানা মোঃ হেমায়েত বিন তইয়ব ।
আরো ওয়াজ ফরমান ছারছীনা দরবার শরীফের রংপুর বিভাগীয় মুবাল্লেগ আল্লামা আলহাজ¦ বশির আহম্মদ, পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আলহাজ¦ মাওলানা মুফইত মোঃ আব্দুল করিম, পঞ্চগড় মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, জাময়া-ই -ছারছীনা শরীফ দ্বীনিয়া মাদরাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা মুফইত মোহেব্বুল্লাহ ছালেহী প্রমুখ। বক্ত্গণ বলেন, প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ সালের এই দিনে ( ১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ^নবী হযরত মুহাম্মদ(স.)। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী(স.) নামে পরিচিত। মহানবী হযরত মুহাম্মদ(স.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ যুগকে বলা হতো ‘ আইয়ামে জাহেলিয়াত’র যুগ। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তি পূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তি সহ তাদেও আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ(স.) কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন। মহানবী (স.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুর আল আমিনের নৈকট্য লাভ করেন। পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের ( পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর) গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশী। বাংলাদেশ সহ বিশ^ মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।