নয়া আলো ডেস্কঃ- সড়ক-মহাসড়কে ওভারটেকিং দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে যাত্রী বা সাধারণ পথচারী। নগরীর আড়ংঘাটা বাইপাস সড়ক এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সবশেষ গত শনিবার এ সড়কে দু’টি দুর্ঘটনায় একজন এনজিও কর্মী নিহত এবং আহত হয়েছেন ৩ জন। ছোট-বড় যানবাহনের পাল্লা আর ওভারটেকিংয়ের ফলে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি মহাসড়কে অটোরিকশাসহ ছোট যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সড়ক-মহাসড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কিন্তু কেউ এর তোয়াক্কাই করছে না। মহাসড়কগুলো এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, দেশে ১৮ লাখ নসিমন, করিমন, ভটভটি বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে। যার একটিও সরকারিভাবে অনুমোদিত নয়।
এ বিষয়ে গতকাল রবিবার কেএমপি’র সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনার জন্য ড্রাইভারদের অদক্ষতা ও অসাবধানতাই মূল কারণ। এছাড়াও গাড়ির অতিরিক্ত গতিতো রয়েছে।
আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা বলেন, বাইপাস সড়কের দুর্ঘটনার অন্যতম কারণগুলো হলো ভুল ওভারটেকিং, যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত গতি, গতিসীমা না মেনে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, ডুমুরিয়া, কৈয়া এলাকার পরিবহনগুলো আড়ংঘাটা বাইপাস ব্যবহার করায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। তাছাড়া জিরো পয়েন্ট থেকে আড়ংঘাটা বাইপাসের অনেক জায়গায় ছোট-ছোট কালভার্ট নিচু হওয়ায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রেজাউল করিম আরো বলেন খুলনা জিরো পয়েন্ট থেকে আড়ংঘাটা বাইপাস পর্যস্ত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে মোস্তফার মোড়, কোহিনুর মোড়, লতা ক্রস রোড, আড়ংঘাটা চৌরাস্তার হাংরিবার্ড মোড় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ মোড়।