
মোঃ তাজমুল ইসলাম,তালা প্রতিনিধি:- প্রকৃতির নিয়মে আমের গাছে গাছে এখন মুকুলের সবুজ সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় গাছে গাছে শুধু মুকুলের সমারোহ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এখনই সাতক্ষীরার তালায় শতকরা ৭৫ ভাগ আমগাছে মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। মুকুল দেখে বাগান মালিকরা আশাবাদী বাগান বিক্রি করে এবারও লাভবান হবেন। ফাল্গুন মাস শুরুর সাথে সাথে আমাগাছে ডালে ডালে প্রচুর মুকুল এসেছে তালা সদর, তেুঁতুলিয়া, ইসলামকাটি, খলিল নগর, খলিশখালি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে আম বাগানগুলোর সবগাছে মুকুল এসে গেছে। উপজেলায় আমরুপালী, ল্যাংড়া, গোপাল ভোগ, সূর্যাপূরী, ফজলী, চিনি ফজলী, মিশ্রীভোগসহ দেশী জাতের আমের মুকুলে ভরে গেছে আম বাগানগুলো। বৈশাখ মাসে আম পাকা শুরু হয় এবং আশ্বিন ও কার্তিক মাসের শেষ পর্যন্ত বাজারে আম পাওয়া যাবে। কিন্তু এরই মধ্যে আম বাগান নিয়ে বেচা-কেনা শুরুহয়েছে। আম বাগান নিয়ে ৬মাস যাবত ব্যবসা চলবে। উপজেলার আম চাষী বাগান মালিকদের ভাল ফলন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদি। আম বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। ইতোমধ্যে আগাম বিক্রি হয়েছে কিছু আমবাগান। আমের ভালো ফলন এবং রং ঠিক রাখার জন্য এখন থেকে গাছের গোড়ায় পানি দিচ্ছেন। মুকুল থেকে গুটি হলে ভিটামিন রিপকট স্প্রে করা হবে বলে বাগান মালিকরা জানান। বিভিন্ন বাগান মলিকরা জানান, মুকলে যাতে কোন ছত্রাক জাতীয় রোগ বালাই না লাগে এজন্য কীটনাশক স্প্রে করে পরিচর্যা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শামসুল আলম জানায়, তালার আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য উপযোগী উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে ৭০০ হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে। প্রতি মৌসুমে এ উপজেলার আম বিক্রি থেকে অর্জিত হয় গড়ে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা।