রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোটা আন্দোলনে কোমরে গুলিবিদ্ধ দুলাল হোসেন(৩৩)। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের সময় কোমরে গুলি লাগায় হাসপাতালের বেডই তাঁর ঠিকানা হয়েছে । গুরুতর আহত হওয়ার পর কয়েক হাসপাতাল ঘুরে এখন সে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জুলাই বিপ্লবের বছরখানেক আগেই জীবিকার তাগিদে দুই সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকা শহরে পাড়ি জমিয়েছিলেন রং মিস্ত্রি দুলাল হোসেন । চেখে-মুখে ছিল স্বপ্ন আর সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি। কিন্তু অত্যাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের স্বেচ্ছারিতার শেষ অস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে চালানো গুলিই যেন আজ তাঁর জীবন উল্টে দিয়েছে। স্বৈরাচারী-অত্যাচারী শেখ হাসিনা সরকারের একটি বুলেট পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম দুলালের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার। নিজের জীবন থমকে গেলেও দুলালের চোখে-মুখে স্ত্রী ও দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা-ভাবনার ছাপ স্পষ্টতই বোঝা যায় ।
দুলাল হোসেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রামভদ্রপুর গ্রামের জাহেরুল ইসলামের ছেলে। এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালের বেডে নিথর পড়ে থাকা পঙ্গু দুলাল হোসেনকে দেখতে ছুটে যান ফুলবাড়ী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক গোলাম জাকিউর রহমান চঞ্চল।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়,জুলাইÑআগষ্ট বিপ্লবের শেষ মুহূর্তে ৫ আগষ্ট বিকেল ৫টায় ঢাকার উত্তরা-আজিমপুর এলাকায় ১টি গুলি দুলাল হেসেনের কোমরের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এসময় কেউ তাকে উদ্ধার করে উত্তরা লেক ভিউ মেডিকেলে ভর্তি করান। সেখানে তাঁর একটি অপারেশন করা হয়। সেই অপারেশনেই সব মিলিয়ে তার প্রায় ৪লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পরবর্তীতে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তার আরও একটি অস্ত্রপাচার করা হয়। সর্বশেষ দেশের বাইরে আরো একটি অপারেশন করতে হবে,সেই অপারেশনের ব্যবস্থা অন্তবর্তীকালীন সরকার করছেন বলেও করানো হবে বলে জানালেন রোগীর স্বজনরা।
জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের ফুলবাড়ীর এই বীরকে দেখতে উপজেলা যুবদল নেতা গোলাম জাকিউর রহমান(চঞ্চল) ঢাকায় গেলে ফুলবাড়ীর সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ও তার আত্মীয় শুভাকাঙ্খীদের কাছে দ্রুত সুস্থতা কামনায় মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া চান তিনি।