৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • দেশজুড়ে
  • ডুমুরিয়ায় সন্তানদের ফিরে পেতে পিতার উচ্চ আদালতে রিট




ডুমুরিয়ায় সন্তানদের ফিরে পেতে পিতার উচ্চ আদালতে রিট

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, চুকনগর.খুলনা করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : ফেব্রুয়ারি ০২ ২০২২, ১৯:৩১ | 957 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

ডুমুরিয়ার প্রকৌশলী শাহিদুজ্জামান বাপ্পী ও চিকিৎসক আমিনা জান্নাত পিয়া দ¤পতির তালাক হয়ে যাওয়ার পর তাদের দুই সন্তান কার কাছে থাকবে এ নিয়ে চলছে টানাটানি। তারা দুই জনই ওই সন্তানের দাবি করে আসছেন। এদিকে সন্তানদের নিজের কাছে রাখতে ঢাকার উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন শাহিদুজ্জামান বাপ্পী। আজ (বৃহ¯পতিবার) এ মামলার শুনানি হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জার্মান প্রবাসী প্রকৌশলী এম এম শাহিদুজ্জামান বাপ্পী ও চিকিৎসক আমিনা জান্নাত পিয়ার বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর। প্রকৌশলী এম এম শাহিদুজ্জামানের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। আমিনা জান্নাত পিয়া খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী প্রধান ও কেশবপুর শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসক হিসেবে রয়েছেন। তার বাড়ি বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলায়। এ দ¤পতির ঘর আলো করে ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সাফওয়ান আরসাল ও ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি সামিন আহনাফ নামে দুই ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। সংসার জীবনে পারিবারিক কলহে বনিবনা না হওয়ায় ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর এ দ¤পতির তালাক হয়ে যায়। এরপর থেকেই দুই ছেলে সন্তান তাদের নানা-নানির কাছেই রয়েছে।
তারা দু’জনেই অন্যত্র বিয়ে করে করেছেন। এদিকে ওই দুই ছেলেকে প্রকৌশলী শাহিদুজ্জামান তার কাছে রাখতে উচ্চ আদালতে গত ৪ জানুয়ারি মামলা করেন। এ মামলার শুনানি হবে বৃহ¯পতিবার। সাফওয়ান আরসালের বর্তমান বয়স ১০ বছর ও সামিন আহনাফের বয়স ৭ বছর।
এ বিষয়ে এম এম শাহিদুজ্জামান বাপ্পী বলেন, আমার ছেলে সন্তান দুটি তার নানা-নানির কাছে রয়েছে। প্রতি মাসে সাফওয়ান ও আহনাফের ভরণ পোষণের জন্য তাদের নানা আবুল হোসেনের ব্যাংক একাউন্টে ২২ হাজার টাকা করে পাঠানো হয়। শাহিদুজ্জামান বাপ্পী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে আমার সন্তানদের সঙ্গে দেখা কিংবা যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমার কাছে রাখতে চাই।
চিকিৎসক আমিনা জান্নাত পিয়ার বাবা আবুল হোসেন খানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি।
এই মামলার আইনজীবী শিশির মনির বলেন, সন্তানদের অভিভাবকক্ত চেয়ে উচ্চ আদালতে যে মামলা করেছিলেন তার শুনানি হবে বৃহ¯পতিবার। বাবা-মা ও দুই ছেলেকে আদালত হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ছেলে সন্তানদের বয়স ৭ বছর হলে বাবার অধীনে থাকে। এক্ষেত্রে সন্তানদের মতামতও নেওয়া হয়।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট এস এম জাকির হোসেন বলেন, যার কাছে থাকলে সন্তানের সর্বোচ্চ কল্যাণ হবে আইনের বাধ্যবাধকতা না থাকলে তার কাছে থাকারই অনুমোদন দেয় আদালত।
Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET