মো: কামাল হোসেন জনি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা ইউপির বাইয়ারা জয়নাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মজুমদার এর বিরুদ্ধে মডেল টেষ্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়সহ ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতি করার কারণে আজ শনিবার পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেন ও প্রধান শিক্ষককে অপসারনের দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অভিভাবকরা গণ স্বাক্ষর করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাইয়ারা জয়নাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর প্রায় ৬ শত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মডেল টেষ্ট পরীক্ষার আয়োজন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মজুমদার। মডেল টেষ্ট পরীক্ষার ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর প্রতিজন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ২ শত ৫০, ৭ম শ্রেণী থেকে ১ হাজার ৩ শত ৫০, ৮ম শ্রেণী থেকে ১ হাজার ৪ শত ৫০ ও নমব-দশম শ্রেণী ১ হাজার ৬ শত ৫০ টাকা ফি ধার্য্য করেন। এর প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেন। ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতি করার কারণে প্রধান শিক্ষককে অপসারনের দাবিতে এ সময় অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে গিয়ে গণ স্বাক্ষর করেন। তার বিরুদ্ধে ছাত্রী ও শিক্ষিকাকে নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে দশম শ্রেণীর ব্যবসা শিক্ষা শাখার ছাত্র ফরহাদ বলেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খরচ ও মডেল টেষ্ট পরীক্ষার নামে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। এর প্রতিবাদে আমরা পরীক্ষা বর্জন করি।
এ বিষয়ে রিক্শা চালক মহশিন বলেন, তার ছেলে রিয়াজ ৭ম শ্রেণীতে পড়ে। মডেল টেষ্ট পরীক্ষার দেওয়ার জন্য ১ হাজার ৩ শত ৫০ টাকা ফি ধার্য্য করে। ফি না দিলে পরীক্ষা দিতে পারবে না। আমি স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মজুমদার বলেন টাকা না দিতে পারলে ছেলেকে কেন স্কুলে পড়ান। কাজে লাগিয়ে দিলেতো টাকা পাবেন। এসব কথা বলে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর মজুমদার বিভিন্ন খাত দেখিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মোনাজের রশিদ সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে, কি অভিযোগ বলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেয়।