ফেনী থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্টার লাইন পত্রিকায় গত ২৭ জানুয়ারি ‘ছাগলনাইয়ায় সোহেল ও মোস্তফা গ্রুপ মুখোমুখি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সঠিক নয় দাবি করে প্রতিবাদ জানান ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল। প্রতিবাদে তিনি জানান, ছাগলনাইয়া পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়ার থানা পাড়ায় একটি সালিশ বৈঠকে স্থানীয় ৫ নং কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠ^নিক সম্পাদক মজাহারুল ইসলাম মুসার সঙ্গে ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র এম মোস্তফার বাগ্নি জামাই জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সৃষ্ঠ বিরোধকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে উভয় পক্ষ পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় তিনজন ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করার বিষয়সহ সার্বিক বিষয়ে থানা প্রশাসন এবং আমাদের দলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ ও দোষীদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। দীর্ঘদিন ধরে দলের স্বার্থের বিরুদ্ধে জড়িত থাকা একটি কুচক্রিমহল এ ঘটনাকে আড়াল করতে আমার রাজনীতিক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করতে বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে যাচ্ছে। গত ২৭জানুয়ারি ফেনী থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্টার লাইন পত্রিকায় আমার ও মেয়রের ছবি দিয়ে ছাগলনাইয়ায় সোহেল ও মোস্তফা গ্রুপ মুখোমুখি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় আমাদের দলীয় নেতাকর্মী ও উপজেলাবাসীর মাঝে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমি বক্তব্যের মাধ্যমে আমার বক্তব্য স্পষ্ট করেছি । লোকমুখে জানতে পেরেছি, ঘটনার দিন স্থানীয় কাউন্সিলর মজাহারুল ইসলাম মুসা স্থানীয় জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে অর্থনীতিক দায়-দেনা নিয়ে বিরোধ মিটাতে শালিক বৈঠকে বিরোধের শুরু হয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে কাউন্সিলরের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় মেয়রের উপস্থিতিতে তার বাগ্নী জামাই, বাগিনারাসহ কাজী নুরুন নবীর লোকদের সঙ্গে পুনরায় বিরোধ ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষ ছাগলনাইয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে আমার সঙ্গে মেয়র কিংবা অন্য কারো সঙ্গে দ্বন্ধ বা গ্রুপিং শিরোনামে নিজউটি মিডিয়ায় প্রকাশ করায় আমি বিস্মিত হয়েছি। আমি আমার দল ও উপজেলাবাসীকে বলবো, আমাদের প্রিয় অভিভাবক ও ফেনী ১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব আলা উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ভাইয়ের ও আমাদের প্রিয় নেতা ফেনী ২ আসনের সংসাদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে ছাগলনাইয়া উপজেলাসহ পুরো ফেনী জেলায় আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ।আমি আরো অবহিত করতে পারি, ছাগলনাইয়া উপজেলায় আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,কৃষকলীগ,সেচ্ছাসেবকলীগ ও মহিলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা একটি পরিবারের মতো আমরা অবস্থান করছি।প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে উপজেলা পর্যন্ত আমাদের নেতাকর্মীরা ঐকবন্ধ। আমার দলের প্রতিটি সদস্য আমার পরিবারের সদস্য হিসে বে আমি জানি। তাদের সুখ আমাকে যেমন আনন্দ দেয় তেমনি কষ্ট ও অপমান আমাকে দুঃখ দেয়। আমি সবার প্রতি অনুরোধ করবো, আমাদের দুঃদিনে নেতাকর্মীরাই আমাদের পাশে থাকবে- এ কথা ভুলে গেলে চলবে না। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ঘটনাকে রাজনীতিতে টেনে আনা উচিত নয় । বিগত দেড় যুগ ধরে আন্দোলন- সংগ্রাম ও প্রতিটি নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীরা জীবনবাজী রেখে দল ও দেশের জন্য কাজ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছেন। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রিয় অভিভাবক জনাব আলা উদ্দিন চৌধুরী নাসিম ভাইকে বিজয়ী করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা তারই প্রমাণ। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ বা গ্রæপিং নেই। থাকা উচিত নয়। তবে, দীর্ঘদিন ধরে দলের অভ্যন্তরে কিছু খন্দকার মোস্তাক টাইপের কিছু কয়েকজন রয়েছে, যারা দিনে আওয়ামীলীগ, রাতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আতাঁত করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাদের ব্যাপারে আমাদের নেতাকর্মীরা ঐক্যবন্ধ ও সচেতন রয়েছে। আমি আশা করবো, ভবিষ্যতে এ ধরনের নিউজ করার সময় আরো যাছাই-বাছাই ও সত্যতা নিশ্চিত হয়ে সাংবাদিক বন্ধুরা তাদের বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন ।
Please follow and like us: