ঢাকা। ১৩/০৮/২৪ অর্থমন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের নামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ রুপে মিথ্যা এবং বানোয়াট। প্রকৃতপক্ষে দেশের এ প্রেক্ষাপটে একটি স্বার্থনেস্বী গ্রুপ সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করে। তাদের সংবাদ লিখে দিয়ে হোয়াটসএপ ও ম্যাসেঞ্জারে সেন্ড করে বিভিন্নভাবে রিকোয়েস্ট এবং মিস গাইড করে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে। সংবাদটিতে দুটি সত্য আছে তার একটি হলো বাড়ি গোপালগঞ্জ আর দ্বিতীয়টি হলো বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা। বাকি সব মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা ভেবে নেয় যেহেতু নিজ জেলা গোপালগঞ্জ সেহেতু তাকে এ সময়ে হয়রানি করা সহজ হবে।
আসল বিষয়টি হলো, জনসংযোগ কর্মকর্তা বা পিআরও পদটি বিসিএস (তথ্য) সাধারণ ক্যাডারের পদ। ক্যাডার মুলত জেনারেল বা সাধারণ ক্যাডার ও টেকনিক্যাল ক্যাডার ভাগে বিভক্ত। তথ্য ক্যাডারেরও একটি টেকনিক্যাল ক্যাডার রয়েছে যারা বেতারের ইঞ্জিনিয়ার। আর বিসিএস তথ্যের জেনারেল বা সাধারণের তিনটি অংশ। একটা হল তথ্য অফিসার, আরেকটি হল অনুষ্ঠান ও অপরটি হল বার্তা। এই জেনারেলের তিনটা ভাগ থেকেই তারা পাবলিক রিলেশনের কাজ করে বা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পিআরও হিসাবে পদায়ন পায়। জনসংযোগ কর্মকর্তাদের পদায়ন নিয়ে তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও বেতারের অনুষ্ঠান ও বার্তার কর্মকর্তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ বিদ্যমান। তথ্য অধিদপ্তর সবসময় তারা মিনিষ্টিয়াল প্রচারনার কাজ করে তকমা লাগিয়ে এই পদগুলোর দাবী করে আসছে। কিন্তু বেতারও মিনিষ্টিয়াল প্রচারনার কাজেই জড়িত। তাই তারা যে কোন উপায়ে বেতারের কর্মকর্তারা যাতে কোনভাবে জনসংযোগের দায়িত্ব না পায় তারা মরিয়া উঠে।
দেশের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি অর্ডারে সকল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সংযুক্তি বাতিল করে নিজ দপ্তরে ফেরত পাঠায়। এ সময়ে তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা একাট্টা হয়ে বেতারের কর্মকর্তাদের বিতাড়িত করার এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায় না। এক্ষেত্রে তারা সকল প্রকার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালায় মিথ্যা সংবাদ লিখে সাংবাদিকদের হোয়াটসএপ ও ম্যাসেঞ্জারে দিয়ে দিয়ে রিকোয়েস্ট করতে থাকে। যেহেতু তথ্য অধিদপ্তর সাংবাদিকদের সচিবালয় প্রবেশের কার্ড প্রদান করে থাকে এটাকেও তারা হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। তাদের এই ঘৃণ্য কর্মের মধ্যে রয়েছে ব্যক্তির নামে মিথ্যা কাল্পনিক সংবাদ তৈরী করা, ফেসবুকে শেয়ার করা, সরকারী গোপন নথি জোগাড় করে ফেসবুকে প্রকাশ করা। এমনি তারা ছাত্রদের নামে করে বিভিন্ন মানুষকে এটা পাঠাচ্ছে। জনসংযোগ কর্মকর্তার পদটি মূলত মাননীয় মন্ত্রী বা উপদেষ্টাদের জনসংযোগ কর্মকর্তা নয়। এটি মুলত মন্ত্রণালয়ের পদ। তবে মাননীয় মন্ত্রী বা উপদেষ্টাদের দপ্তরে পদায়িত থাকে।
মাননীয় মন্ত্রী বা উপদেষ্টাদের অভিপ্রায় অনুযায়ীই সবসময় তিনটি পদ- পিএস, এপিএস এবং পিআরও পদায়িত হয়ে। সেক্ষেত্রে যদি অভিপ্রায় না দেওয়া হয়ে তাহলে পদায়ন হবে কিভাবে! সম্প্রতি একযোগে অর্ডারটি হওয়ার পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় মাননীয় উপদেষ্টাদের দপ্তর বন্টরের পরে তাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী জনসংযোগ কর্মকর্তা পদায়ন করা হবে। সে অনুযায়ী আমর সুনামের ভিত্তিতেই আমি পদায়িত হই। এতেই ঐ বিরু্দ্ধ গ্রুপের মাথায় রক্ত ওঠে যায় এবং এইসব ঘৃণ্য কাজে নিয়োজিত হয়। এবং এখনো আমাকে কিভাবে এখানে সরানো যায় সেই চেষ্টায়ও তারা মরিয়া। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনায় হয়েছে তার সবগুলো ভিত্তিহীন, বানোয়াট, মিথ্যা। একজন পিআরও এর ক্ষমতা কতটুকু? একজন পিআরও কি দুর্নীতিবাজদেরকে বাচাতে পারে? পিআরও এর কাজের এখতিয়ার কতটুকু।
একজন পিআরওও যদি থেকে থাকে যে তার এখতিয়ারের বাইরে কোন কাজ করেনি, সেটা আমি। আমার বাড়ি গোপালগঞ্জে হলেও আমি ছোটবেলা থেকেই ঢাকাতে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সবই ঢাকাতে। গোপালগঞ্জে মাঝেমধ্যে বেড়াতে যাওয়া ছাড়া আর তেমন কিছুই ছিল না। আমি কখনো কোন ছাত্র রাজনীতি বা কোন রাজনীতিতেই জড়িত ছিলাম না। কেউ কোন নথিপত্র বা নজির দেখাতে পারবেনা। কোথাও থেকে কোন সুবিধা নেওয়ার নজিরও কেই দেখাতে পারবেনা। অর্থ মন্ত্রণালয়ে থাকাকালিন সময়ে কাজরে বাইরে কোন একটি দপ্তরে এমনি নিজ মন্ত্রনালয়ের কোন অফিসারের সাথেও অপ্রয়োজনে যোগাযোগ বা তদবিরের নজির দেখাতে পারবেনা। ঢাকার শহরে কেন কোথাও আমার কেনা বাড়ি বা ফ্লাট বা কোন জায়গা জমি নাই। এছাড়া আরো এমন কিছু হাস্যকর কথা আছে যা আসলে অপরিপক্ক লোকের মাথা থেকে আসছে।
প্রতিবাদকারী
গাজী তৌহিদুল ইসলাম।
জনসংযোগ কর্মকর্তা
অর্থ মন্ত্রনালয় ঢাকা।
Please follow and like us: