২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুর দাবী নিয়ে এসেছি

Khorshed Alam Chowdhury

আপডেট টাইম : জুন ১৬ ২০২১, ১৯:০১ | 1059 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

মনোয়ার হোসেন রতন- একবিংশ শতাব্দীর এ সময়ে এসেও আমাদের নারী, শিশুরা পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সকল পর্যায়ে এখনো লাঞ্চিত বঞ্চিত নিপিড়িত।নারী প্রগতির এ সময়ে নারীরা শিশুর মতো নির্যাতিত, শোষিত।শিশু ও নারীর জীবণ আজ বিপন্ন।এ বিপন্ন সময়ের অভিযাত্রী আমরা।আমাদের সমাজের চোখ কানা, হাত লুলা, পাঁ খোড়া, বিকলাঙ্গ দেহ দিয়ে সমাজ পরিচালনা করা যায় না।ধর্ষন ও নির্যাতনের শিকার যারা হয়েছে, হচ্ছে, তাঁরা সবাই আমার জননী, ভগিনী, ফুফু, অর্ধাঙ্গিনী, আত্নীয় এবং প্রিয়।সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বোর্ড ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে চিত্র নায়িকা পরীমনির ঘটনা আমাদেরকে বেশ ভাবিয়া তুলেছে।আমরা চাই সঠিক তদন্তের মধ্যদিয়ে প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসুক।এ রকম ঘটনা যদি প্রতিনিয়ত ঘটতেই থাকে তাহলে আমি সকলের হয়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুর পরোয়ানা ঘোষনার দাবী নিয়ে এসেছি।৬৪ জেলায় ৬৪ জন ধর্ষক, নির্যাতনকারীর প্রকাশ্য মৃত্যুর কার্যকর ঘোষনা শুনবার অপেক্ষায়।যদি প্রকাশ্যে এমন বিচার না হয়, তাহলে ধরে নিবো, রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে সুকুমার মনোবৃত্তি, স্নেহ, প্রেম, প্রীতি, ভক্তি, মর্যাদা, দয়া, করুনা, শ্রদ্ধা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।আমরা ফিরে গেছি আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে।তবে কি আমাদের নারী-শিশুদের মাটিতে পুঁতে ফেলবো?আমাদের নারী, শিশুরা কি মোগলাই পরোটা, জাপানী হোন্ডা, ডানহীল সিগারেট, পুষি বিড়াল। নারীরা কাঠ কয়লা, হাতুড়ি সেলাইকল, মাদি কুকুর নাকি তাও নয়! তাহলে কি অশ্রুবিন্দু?

হে নারী, তুমি আমার ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুর দাবী নিয়ে এসো।নপুংসক, বিকলাঙ্গ শয়তানকে তো তুমি চিনেছো।তোমার হাত দিয়েই যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই তুমি আমাকে হত্যা কর।যে বর্বরোচিত আচরন তোমাদের প্রতি করা হয়েছে, সেদিনই আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছে।মানব সভ্যতা, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন ভূলুন্ঠিত হয়েছে।কোথায় দেশ দরদী মহান মানুষেরা! আজও কি চুপ করে থাকবেন? নাকি আপনাদের আবেগ রুদ্ধ,নয়ন অশ্রুশিক্ত।আমি কেঁদেছি, প্রতিবাদ করতে পারিনি।এ ভালোবাসা, দরদী দেশ প্রেমিকের আজ আর প্রয়োজন নেই।সকলেই আসুন আওয়াজ তুলি, চিৎকার করি প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে তুলি।না কি আপনারা বলবেন আমাকে তোমরা ক্ষমা করো।আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।পত্রিকার পাতায় যখন দেখি, নারী, শিশুদের উপর এতো পৈশাচিকতা, অত্যাচার, নির্যাতন।তখন এক জীবন্ত লাশ হয়ে যাই। জাতীয়ভাবে বিকলাঙ্গ নপুংশুকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে আজ।তা না হলে সমাজ টিকে থাকবেনা, ধ্বংস অনিবার্য।রাষ্ট্রীয় জীবনের নীতি নির্ধারকগণ কি এখনো আহম্মকী করবেন? নাকি শহীদদের রক্ত, বঙ্গবন্ধুর রক্ত ভেজা মাটি থেকে এ অপকর্মের শেষ পেরেকটি মেরে তার ছিদ্র বন্ধ করবেন।এ দেশে নারী জাগরণ প্রথম সূচিত হয় রাজা রামমোহন রায় কর্তৃক সতীদাহ প্রথা রোধের মধ্য দিয়ে।দ্বিতীয় অগ্রগতি সুচিত হয় ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রবর্তিত বিধবা বিবাহের মাধ্যমে।তা হলে আসুন, আমরা ধর্ষন প্রথা রোধের মধ্য দিয়ে নতুন এক সভ্য ইতিহাস সৃষ্টি করি।আপনারাতো আমাদেরকে স্বাধীন দেশ দিয়েছিলেন, তাহলে এ অসভ্য সময়ে নীরবতা কেন?

মনোবৈকল্য, বিকলাঙ্গ ধর্ষক শয়তান এতো শক্তি কোথায় পায়? নাফরমান কীট গুলোর শক্তির উৎস কারা? ওরা যদি পুরুষ হতো, মানুষ হতো তাহলে ওদের মধ্যে থাকতো পুরুষের বৈশিষ্ট্য শৌর্য, ধৈর্য এবং বিচার করবার ক্ষমতা।বিপদে বন্ধু হতো,সুখ হতো শান্তি রক্ষাকারী হতো।এ কোন দুষ্ট চক্রের ক্ষত তৈরি হলো সমাজে।তবে কি আমার সোনার বাংলা, নষ্ট হয়ে গেছে।এই মৃত্যু উপত্যকা জল্লাদের উল্লাস মঞ্চই কি তবে আমার দেশ! আসুন প্রতিবাদের প্রবল ঝড়ে এ নপুংসুকদের মৃত্যুর পরোয়ানা জারী করি।তা নাহলে আমি নিজেই আমার মৃত্যুর দাবী নিয়ে এসেছি।বিবস্ত্র নারী নির্যাতন, ধর্ষনের স্বীকার বোনটির আর্তনাদের ধ্বনি প্রতিধ্বনি কি আমার আপনার কর্ণকুহুরে প্রবেশ করছে না? সমাজে কোথায় শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি? আজ তো মনে হয় এ সব এখন স্বপ্ন কথা, দূরের শোনা গল্প।আওয়াজ তুলুন, আবার তোরা মানুষ হ।সমাজ জীবনের গভীরে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, এ ক্ষত থেকে মুক্তির পথ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্হান, শিক্ষা, চিকিৎসা নয়।তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বেপরোয়া গতির নপুংসুক গুলোকে বাঁধবার জন্য প্রয়োজন শক্ত রশি।যেমন ভাবে করোনাকালীন সময়ে বাঁচবার জন্য মুখে মাস্ক পরতে হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে এ মহাসংকট কালে ইজ্জত, সন্মান, নিরাপত্তার নিশ্চয়তার জন্য আমাদের কি করা প্রয়োজন? জবাব চাই জাতীর বিবেকে কাছে?সরকারের নির্দেশনা শুনবার প্রতিক্ষায়।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET