১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • সকল সংবাদ
  • ফেনীতে মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ১১ ধরণের খাদ্যপণ্যে ভেজাল সন্দেহে পরীক্ষাগারে প্রেরণ




ফেনীতে মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ১১ ধরণের খাদ্যপণ্যে ভেজাল সন্দেহে পরীক্ষাগারে প্রেরণ

মোহাম্মদ ইমন মিয়া, বাঙ্গরা,কুমিল্লা করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : মার্চ ১৫ ২০১৮, ১৮:২৩ | 716 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেনীতে শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক বা অন্য কোন ভেজাল মিশ্রিত হয়ে থাকতে পারে সেরকম সন্দেহে ১১ ধরণের খাদ্যপণ্য পরীক্ষাগারে প্রেরণ করেছে মোবাইল কোর্ট।
বুধবার (১৪ মার্চ) ফেনী শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভেজালবিরোধী এ ব্যতিক্রমী অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন, ফেনী। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।

তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টরসহ মোট ৬ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্যে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক ও ভেজাল পরীক্ষার উদ্দেশ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসরণ করে খাদ্য নমুনা জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের খাদ্য নিরাপদতা পরীক্ষাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন। খাদ্যপণ্যগুলো হল: ১) শুটকি ২) সয়াবিন ৩) সরিষা ৪) গুড় ৫) লবণ ৬) সুপারি ৭) ঘি ৮) কলা ৯) হলুদের গুড়া ১০) পানি ১১) মরিচের গুড়া।

এ সময় তাকিয়া রোডের সকাল-সন্ধ্যা শুটকি আড়ত, আব্দুল মতিন সওদাগরের শুটকি আড়ত, মায়ের আশীর্বাদ শুটকি আড়ত, হরন্দর শুটকি আড়ত থেকে ৪০০ গ্রাম শুটকির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শুটকিতে ডিডিটিসহ অন্যান্য কীটনাশক আছে কি না তা পরীক্ষা করা হবে। তাকিয়া রোডের আলভী ট্রেডার্স থেকে  সয়াবিন তৈল , জসিম উদ্দিন থেকে সরিষার তেল,  চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে সয়াবিন প্রভৃতি থেকে ৫০০ মি.লি. করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সয়াবিন তৈল সয়াবিন না পাম ও সরিষা তেল বিশুদ্ধ কি না সেটি পরীক্ষা করা হবে। তাকিয়া রোডের জনার্দন সাহার দোকান থেকে গুড়ের নমুনা নেওয়া হয় সোডা মেশানো হয়েছে কি না সেটি পরীক্ষার জন্য। তাকিয়া রোডের নাগ স্টোর থেকে আয়োডিন আছে কি না পরীক্ষার জন্য লবণ সংগ্রহ করা হয়। ভিতরের বাজারের আনোয়ার ট্রেডার্স থেকে ঘি নেওয়া হয় বিশুদ্ধতা পরীক্ষার জন্য। এছাড়াও নুর উদ্দিনের দোকান থেকে হলুদ ও মরিচের গুড়া সংগ্রহ করা হয় ভেজাল মেশানো হয়েছে কি না সেটি পরীক্ষার জন্য।

শহরের পাঠানবাড়ি এলাকা থেকে বাংলা ড্রিংকিং ওয়াটার, ওয়াটার ফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার ও ভাইটাল ফ্রেশ থেকে পানির নমুনা ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। মিজান রোডের জনতা কমিশন এজেন্ট, মেসার্স সাদেক মিয়া সওদাগর প্রভৃতি থেকে সুপারি ক্ষতিকর কেমিক্যাল রং মেশানো হয় কি না এজন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
স্টেশন রোডের সাতটি কলার আড়ত থেকে কার্বাইড পরীক্ষার জন্য কলার নমুনা নেওয়া হয়।

এসব পরীক্ষার পর অপরাধ উদঘাটিত হলে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এতে করে জনগণের মাঝেও খাদ্যের মান নিয়ে যেসকল প্রশ্ন আছে তার কিছু উত্তর পাওয়া যাবে। এ অভিযানে জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সুজন বড়ুয়া, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবদুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, আবদুল গাফফার, মো: নাসির উদ্দিন,  মঞ্জুর আলম ভুঁইয়া, কাজী মাসুদ,  বাবুল চন্দ্র দাস ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET