
খোকন হাওলাদার,বরিশাল থেকে |
| বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে পাঁচ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করেন না বিসিসির ১৪ কাউন্সিলর। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা সিটি বকেয়া রয়েছে তাদের নিকট। আর বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্সের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশন নিচ্ছে না কোন পদক্ষেপ। এর ফলে নগরীর সার্বিক উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে মনে করছেন সুশিল সমাজ। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুল হাসান মামুনের একটি হোল্ডিং নাম্বরে বছরে ৬৭৫ টাকা সিটি ট্যাক্স প্রদান করেন। তবে ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করেন না তিনি। তার কাছে বকেয়া কর রয়েছে ৩ হাজার ৪শ ৮৫ টাকা।
চার নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউনুস মিয়া বছরে একটি হোল্ডিং নম্বরে এক হাজার ৮০ টাকা কর প্রদান করেন সিটি কর্পোরেশনে। তিনিও ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করেন না। ফলে তার কাছে ৫ হাজার ৫শ ৭৬ টাকা বয়েক কর রয়েছে। পাঁচ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাইনুল হক বছরে ৪টি হোল্ডিং নাম্বারের বিপরীতে ৮ হাজার ১শ ৫৪ টাকা কর প্রদান করেন। কিন্তু ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে সিটি কর প্রদান করেন না তিনি। ফলে তার কাছে ১৯ হাজার ৬শ ৪২ টাকা কর বকেয়া রয়েছে। ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকবর হোসেন বছরে ২টি হোল্ডিং এর বিপরীতে ৩ হাজার ২শ ৪০ টাকা সিটি ট্যাক্স প্রদান করেন। তবে ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে সিটি কর প্রদান করেন না তিনি। তার কাছে বকেয়া কর রয়েছে ১৬ হাজার ৭শ ২৬ টাকা। ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম হাওলাদার বছরে ৩টি হোল্ডিং নম্বরে ৩ হাজার ৫শ ৪৬ টাকা কর প্রদান করেন। কিন্তু তিনি ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে সিটি কর্পোরেশনে কোন কর প্রদান করেন নি। ফলে তার কাছে ১৫ হাজার ৯শ ৯ টাকা বকেয়া কর রয়েছে।
৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ এর নামে চারটি হোল্ডিং নম্বর রয়েছে। এর মধ্যে একটি হোল্ডিং নম্বরে ২০০৭-০৮ অর্থ বছর থেকে কর প্রদান করেন না তিনি। ফলে একটি হোল্ডিং নম্বরে ৬ হাজার ১শ ৯০ টাকা বকেয়া রয়েছে।
১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন একটি হোল্ডিং নম্বরে ২৭০ টাকা ট্যাক্স দেন সিটি কর্পোরেশনে। কিন্তু ২০১১-১২ অর্থ বছর থেকে সিটি ট্যাক্স প্রদান করেন না তিনি। ১ হাজার ৯শ ৬১ টাকা বকেয়া রয়েছে তার কাছে।
১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাউদ্দিন মাসুম একটি হোল্ডিং নম্বরে বছরে ৪ হাজার ৫০ টাকা সিটি ট্যাক্স প্রদান করেন। কিন্তু ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে কর প্রদান করেন না তিনি। ফলে তার কাছে কর বকেয়া রয়েছে ১৯ হাজার ৪শ ১৩ টাকা। ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল বছরে একটি হোল্ডিং নম্বরে ২৭শ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে ট্যাক্স দেন না তিনি। ফলে তার কাছে ৩০ হাজার ৫শ ২৪ টাকা বকেয়া রয়েছে কর। ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী আক্তারুজ্জামান হিরু একটি হোল্ডিং নম্বরের বিপরীতে ২৭শ টাকা ট্যাক্স প্রদান করেন। কিন্তু ২০০৭-০৮ অর্থ বছর থেকে তার কাছে ২৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে কর। ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নঈমুল ইসলাম বছরে তিনটি হোল্ডিং নম্বরের বিপরীতে ৪ হাজার ১শ ৩০টাকা কর প্রদান করেন। কিন্তু ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে কর প্রদান করেন না তিনি। ফলে তার কাছে ৪৬ হাজার ৩শ ২০ টাকা বকেয়া রয়েছে।২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম তালুকদার বছরে একটি হোল্ডিং নম্বরে ৬শ ৭৫ টাকা কর প্রদান করেন। কিন্তু তিনি ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে কর প্রদান করেন না। ফলে তার কাছে ৩ হাজার ৪শ ৮৫ টাকা বকেয়া রয়েছে কর।
২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির বছরে দুইটি হোল্ডিং নম্বরে ৬শ টাকা কর প্রদান করেন। কিন্তু তিনি ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে কর প্রদান করেন না। ফলে তার কাছে ৩ হাজার ৯৮ টাকা বকেয়া রয়েছে কর।
৩০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়রুল মামুন বছরে একটি হোল্ডিং নম্বরে ২শ টাকা কর প্রদান করেন। কিন্তু তিনি ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে কর প্রদান করেন না। ফলে তার কাছে ১ হাজার ৩৩ টাকা বকেয়া রয়েছে।
Please follow and like us: