
বাগেরহাটে প্রকাশ্যে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালন কালে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশের গাড়িতে আগুন, আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ অনেক বছর পর প্রকাশ্যে সরকার বিরোধী কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেল বাগেরহাটে।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও গণ মিছিলের আয়োজন করে ছাত্র জনতা। এ সময় বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে তারা। কিছুক্ষণ পর যুবলীগ শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ঘটনা স্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল ইমরানের উপর হামলা করে একদল সন্ত্রাসী। হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ভেংগে ফেলে। এছাড়া কয়েকজনকে পিটিয়েও আহত করে তারা।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে একই সময়ে বিক্ষোভ ও গণ মিছিলের আয়োজন করা হয় বাগেরহাটের খুলনা মোংলা মহাসড়কের রামপালের চেয়ারম্যান বাড়ি মোড় এলাকায়। হাজার হাজার ছাত্র জনতা এই বিক্ষোভ ও গনমিছিলে অংশ করে। বেলা ১১:৩০ টার দিকে ছয়লা বাজার এলাকায় রামপাল থানা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ফয়লা বাজার ও রনসেন এলাকার আওয়ামী লীগের দুইটি কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগ করে তারা। রামপাল থানার ওসি সোমেন দাশ, ওসি তদন্ত বিধান বিশ্বাস, প্রেসক্লাব রামপালের সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদার সহ বেশ কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
বেলা ২:০০ ঘটিকায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ফকিরহাটের কাটাখালি মোড়ে গণ মিছিল কর্মসূচি পালন করে ছাত্র জনতা। এ সময় লাঠি হাতে নিয়ে তাদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। কাটাখালি আওয়ামী লীগ কার্যালয় একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে তারা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী দেখলেই ধাওয়া করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের হাতে কয়েকজন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলার সর্বত্রই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
Please follow and like us: