ফোরাম নেতৃবৃন্দ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, জাতির দুঃসময়ের কান্ডারী, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম কে। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইতিহাসের এক অনিবার্য পরিস্থিতিতে জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষা’র প্রতিফলন ঘটাতে রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি’র জন্ম এবং বিকাশ ঘটে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে বিএনপি গঠন করেন। আজ বিএনপি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এদেশের গণমানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিক।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ৯০’র দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া’র আপোষহীন ভূমিকায় স্বৈরাচারের পতনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে তিনি সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র আপোষহীন ও দেশপ্রেমিক ভূমিকার জন্য বিএনপি আজ নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের একমাত্র প্লাটফর্ম হিসাবে জনগণের কাছে সুপ্রতিষ্ঠিত। দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জালিম সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিন কাটিয়েছেন দীর্ঘদিন। এখনো নানা শর্তের বেড়াজালে তিনি বন্দি। গুরুতর অসুস্থ হলেও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগও দেয়া হয়নি। তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দেশনেত্রীর সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করেন।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ২০০৭ সালের ১/১১ এর ক্যু’র মাধ্যমে বাংলাদেশের মূলধারার রাজনীতির পট পরিবর্তনের সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সূর্য সৈনিক হিসাবে দেশনায়ক তারেক রহমান চলমান গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে জনগনের আশা ভরসার কেন্দ্র হিসাবে প্রতীয়মান হয়েছেন। চলমান অন্দোলনে দলের অগণিত নেতাকর্মীকে ঘাতকের আঘাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। প্রতিদিন মিছিল, মিটিং, সমাবেশে এমনকি নেতাদের বাসাবাড়িতে হামলা হচ্ছে। দলের লক্ষাধিক নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে কেউবা জেলে কেউবা ফেরারী জীবনযাপন করছেন। শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। এত অত্যাচার নিপীরনের পরেও শুধুমাত্র জনাব তারেক রহমানের বলিষ্ঠ ও যোগ্য নেতৃত্বের কারনে থেমে যায়নি বিএনপি’র অগ্রযাত্রা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’তে বিএনপি’র আগামী নেতৃত্ব দেশনায়ক তারেক রহমানকেও শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান।
বর্তমানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং মৌলিক অধিকার হরণের মাধ্যমে রাজনীতির পথকেই সংকুচিত করে দেয়া হয়েছে। তাই আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে সকলের প্রত্যাশা পারিবারিক ঐতিহ্যের পথ ধরে জনাব তারেক রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল হবে, অবসান হবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নসহ সকল অনাচার ও অপশাসনের, জনগন ফিরে পাবে তাদের কাঙ্খিত স্বদেশ, প্রিয় বাংলাদেশ।