বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম একটি সুন্দর বাংলাদেশ চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীরা কেউ মারা যায়নি বরং তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে ক্ষুন করা হয়েছে। কেন আমরা একটা যৌক্তিক দাবী নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম। এসময় শিশু শিক্ষার্থীরাও বাবা-মা’র সাথে একসঙ্গে আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছিল। কারণ তারা বিগত ১৬ বছরের অত্যাচারে নির্যাতনে বিরক্ত, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা যখন এক দফা দিচ্ছি তখন তারা রাস্তায় নামছে। এখন কথা হচ্ছে একটা দেশের সরকার যদি জনগন এবং রাষ্ট্রের সরকার হয়, তাহলে ওই সরকার কখনো জনগনের ট্যাক্সের টাকায় কেনা বুলেট জনগনের উপর চালাতে পারে না। হাসিনা সরকারের কাছে ক্ষমতার প্রাইয়োরটি বেশী ছিল। নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই একাজগুলো করা হয়েছে। আমরা সেই কথাগুলোই আপনাদের জানাতে চাই, তারা আসলে ক্ষমতা পিপাসু।
তারা কখনো দেশের ভালো চায়নি। তিনি আন্দোলনে আহত-নিহতদের বিভৎস্য অবস্থা বর্ণনা দিয়ে বলেন, দেশের ৩০% মানুষ আওয়ামীলীগ করেন। তারা সবাই এক নয়। অল্প পরিমান মানুষ ছিল যারা একাজগুলো করেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, কোন বৃহৎ গোষ্ঠি নিয়ে আপনাদেরকে কথা বলতে বলছি না। আপনারা শুধু দেখেন কোথাও কোন অন্যায়, ঘুষ দূর্নীতি কিংবা শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে নাকি। তাহলে আপনারা প্রতিবাদ করেন। গঠনমূলক ভাবে কথা বলেন। তবে কোন গুজবে কান দেয়া যাবেনা। মনে রাখতে হবে আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে। সারজিস আলম বলেন, যখন প্রয়োজন হবে, আমরা রাজপথে নেমে পড়ব। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মতো যে কোনো ফ্যাসিস্টকে দেশছাড়া করবো। প্রয়োজনে আবারো ২৪-এর মতো গণঅভ্যূত্থান ঘটাব। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার না দেখা পর্যন্ত আমাদের শান্তি হবে না। অবিলম্বে সেই সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। উল্লেখ্য, রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে তিনি তার নিজ জন্মভূমি এলাকা পঞ্চগড়ের আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন। এসময় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কুদ্দুশ সহ সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি একই দিনে আটোয়ারী সরকারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও আটোয়ারী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে পৃথক পৃথকভাবে মতবিনিময় করেন।