
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর নির্মাণ কাজের
অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
পররাষ্ট্র সচিব(সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন।
শুক্রবার(৫মার্চ)সকাল ১১টায় পরিদর্শনের সময় সফরসঙ্গী ছিলেন,সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেঃ জেনারেল
ওয়াকারুলজ্জামান,সশস্ত্র বিভাগের গোয়েন্দা পরিদপ্তরে মহাপরিচালক
ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আতিকুর রহমান,২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর
জেনারেল সাইফুল আবেদিন,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পিএস টু সিনিয়র
সচিব,গুইমারা ২৪ফিল্ড আর্টিলারি ব্রিগ্রেড গুইমারা রিজিয়নের রিজিয়ন
কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং রামগড় ৪৩ বিজিবি
জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল আনোয়ারুল মাযহার প্রমুখ।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ১ এর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্র সচিব(সিনিয়র সচিব)মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এক
প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ১ ণির্মানের ফলে দীর্ঘ
দিনের উভয় দেশের আশা পূরণ হতে যাচ্ছে।সেতুটির ফলে দুই দেশের মধ্যে
অর্থনৈতিক অগ্রগতি সৃষ্টি হবে।ফেনী নদীর ওপরে নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত
মৈত্রী-১ সেতুটির আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে যৌথভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে উদ্বোধন
করবেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর
পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৬মার্চ বাংলাদেশের মহোৎসবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী শামিল হওয়ার কথা রয়েছে।তখন সেতুটি উদ্বোধনের সম্ভাবনা
আছে।তিন্ িবলেন, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে
আলোচনা হয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ ভারতের পানি সম্পদ সচিবের সাথে বৈঠক করার
কথা রয়েছে এরপরেই দুই দেশের পানি সম্পাদ মন্ত্রীদের বৈঠক হবে।
উল্লেখ্য,ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট
করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এর তত্ত্বাবধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে
রামগড়ের মহামুনিতে ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের আন্তর্জাতিক
মানের মৈত্রী সেতুটি গত ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে নির্মাণকাজ শুরু করে
দীর্ঘ ৩ বছর পর গত জানুয়ারিতে শেষ হয়।২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী
সেতু-১ নামে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির ভিত্তি উন্মোচন করেন।