কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউপির বৈদ্যর বাজার ভাটিগ্রামের এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবীতে অমানবিক নির্যাতন ও প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজারহার সূত্রে জানা যায়, রাজারহাট উপজেলার চাকিপশার ইউপির অর্জুন মিশ্র(কার্জ্জী ভিলা)গ্রামের প্রভাষক অনাথ বন্ধু রায় কার্জ্জীর পুত্র শুভ্র রায় কার্জ্জীর সঙ্গে ছিনাই ইউপির বৈদ্যর বাজার ভাটিগ্রামের মৃতঃ সুভাষ চন্দ্র রায় এর কন্যা শিপ্রা রায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম চলে আসছিল।এরই সুবাদে শুভ্রর পরিবারের সম্মতিতে কোর্ট নোটারী পাবলিক ও হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ের সকল কার্যত্রুম সম্পন্ন হয়।বিয়ের পর তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজ এলাকার বাসা ভাড়া নিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছিল। হঠাৎ করে আমার শশুর-শাশুরী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুরতে এসে ৫ লক্ষ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ যৌতুক দাবী করে। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা সকলে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করে এক পর্যায়ে পাশন্ড স্বামী শুভ্র ও তার পরিবারের সদস্যরা লাঠি ও রট দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত যখম করে তারা গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত যখম অবস্থায় স্থানীয় লোকজন গৃহবধূকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ শিপ্রা রায় বাদী হয়ে স্বামী শুভ্র রায় কার্জ্জী (২৮) কে প্রধান আসামী করে নাম উল্লেখপূর্বক সৌরভ রায় কার্জ্জী (২২), রত্না রাণী তমা (৩০), অনাথ বন্ধু রায় কার্জ্জীর(৫২), শোভা রাণী রায়(৪৫),নীহার রায় রঞ্জন সম্রাট(৩৩) কে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধারা ১১(গ) ধারায় মামলা করা হয়।
অপরদিকে মামলা চলাকালীন অবস্থায় নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী শুভ্র রায় কার্জ্জী আদালতের রায়কে হেয় করে ও আদালত অবমাননা করে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই পীরগাছা থানার ইটা কুমারী ইউপির নরসিংহ গ্রামের বিশ্ব রায়ের কন্যা বেলী রাণী (ডলি)কে গত ৩ মে ২০২৩ইং রাতে গোপনে ২য় বিয়ে করেন।
নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী অভিযুক্ত শুভ্র রায় কাজ্জীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে,তিনি এ বিষয়ে কোন কথা না বলে বরং এ প্রতিনিধিকে এই বলে হুমকি ধামকি দেয় “যদি এ বিষয়ে কোন সংবাদ পরিবেশন করা হয় তবে দেখে নেয়া হবে”।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা-হিল জামান বলেন,আমাদের কাছে মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আসেনি,কাগজপত্র পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো : নূর আলম বলেন ৬ জনের মধ্যে ২জন কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমান মামলাটি নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে
বিচারধীন চলছে।
উল্লেখ্য,মামলা দায়েরে করার পর থেকেই অভিযুক্তর পরিবার থেকে বাদী পক্ষকে বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
Please follow and like us: